হাঁসখালিরকাণ্ডের নির্যাতিতার পরিবারকে দিতে হবে ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ-মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে! হাঁসখালিরকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তদন্তের অসম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জানা গিয়েছে,সব প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি CBI।কিন্তু এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার হাঁসখালিরকাণ্ডের নির্যাতিতার পরিবারকে ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এই মর্মেই একটি মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে বলে সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবরে আরো জানা গিয়েছে,মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদনপত্র দাখিল করেন। অন্যদিকে এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, তিনি বিষয়টি বিবেচনা করে জানাবেন।এর থেকে একটা কথা স্পষ্ট হল যে প্রথমে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার।কিন্তু, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে তারা সন্তুষ্ট নন।
এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, গত ৪ঠা এপ্রিল ২০২২ এ প্রেমিক সোহেল গোয়ালির জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল হাঁসখালির কিশোরী। কিন্তু রাতে সেখান থেকেই অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।এদিকে, গভীর রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে ও ভোররাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন চাপ দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই সেই কিশোরীর দেহ দাহ করে ফেলে।এদিকে, ৯ই এপ্রিল পুলিশের কাছে যান নির্যাতিতার পরিবার।
আরও পড়ুন- বাংলা দলের অধিনায়ক মনোতোষ চাকলাদার ও স্ট্রাইকার দিলীপ ওঁরাওকে চাকরি দিল নবান্ন
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে। মূল অভিযুক্তের বাবা এবং তার বন্ধুকেও গ্রেফতার করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে যে,এই দু’জনের বিরুদ্ধেই প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।অন্যদিকে,গত সোমবার হাঁসখালি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই মুখবন্ধ খামে অসম্পূর্ণ খামে রিপোর্ট জমা দেয় হাই কোর্টে বলে জানা গিয়েছে।তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “তদন্ত চলছে, রিপোর্ট জমা দিতে আরও সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে।”এই বলে আদালতের কাছে আর একটু সময় চেয়ে আবেদন জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী বলে সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে।