মুর্শিদাবাদে ছাত্রী হত্যাকাণ্ডে নতুন মিসিং লিঙ্ক! সুতাপা ও সুশান্তের মাঝের মধ্যস্থতাকারীর খুঁজে হন্যে তদন্তকারীরা। হাড় হিম করা মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে প্রকাশ্যে কলেজ ছাত্রী সুতাপা খুনের ঘটনায় বেশ কিছু মিসিং লিঙ্ক খুঁজে পেতে এবার মৃতা ও তাকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক টেস্ট এর জন্য পাঠানো হলো বলেই এদিন জানা যায়। সেক্ষেত্রে সুতাপা খুনের পরে তার মোবাইলে কে বা কারা কতবার ফোন করেছিল ও কি উদ্দেশ্য নিয়ে ওই ফোন এসেছিল তা জানতেই এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে তদন্তকারীরা।
পাশাপাশি আশ্চর্যজনকভাবে সুতপার সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলাকালীন সুতাপা সম্পর্কে যাবতীয় নিখুঁত তথ্য কোন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে হুবহু পৌঁছে যেত সুশান্তের কাছে সেই ব্যক্তিকে এখন খুঁজে পেতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ কর্তারা বলেই জেলার এক উচ্চ পুলিশ আধিকারিক জানান। কারণ এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, যে সুশান্তকে সুতাপা সম্পর্কে নানান ভাবে বিকৃত তথ্য দিয়ে তার মন কে কেউ বিষিয়ে তুলতে চাই নি তো? যে কারণে সুশান্ত ক্ষিপ্ত হয়ে এইভাবে নিশংস হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে ঘটিয়ে ফেলে। সেই মধ্যস্থতাকারী কোনভাবে নিজের কোন অসৎ উদ্দেশ্য সফল করতে সুশান্তকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার জীবন থেকে সুতপাকে সরিয়ে দিতে চাইনি তো আদতে?
আর ও পড়ুন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলো স্বামী
এমন নানা প্রশ্ন ক্রমশ উঁকি মারতে শুরু করেছে তদন্তকারীদের মনে। স্বাভাবিকভাবেই সেই বিষয়ে চিলচুড়ো বিশ্লেষণ করেই এগোতে চাইছে সুতপা হত্যাকাণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারী দল। যদিও তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, সুতপাকে ভালবেসে না পাওয়ার যন্ত্রণাতেই যে সুশান্ত তাঁকে খুন করেছে, ধৃতকে জেরা করে এ ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি সুশান্তকে নিয়ে তদন্তকারীরা তার আদি বাড়ি মালদা গিয়েও তদন্তপ্রক্রিয়া চালাতে চাইছে। অন্যদিকে বহরমপুরে ডেকে পাঠানো হয় সুতপার বাবাকেও।
অন্যদিকে, ঘটনার দিন জঙ্গিপুর কলেজের যে ছাত্রের সঙ্গে সুতপা স্থানীয় মলে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষন জেরা করে প্রেমের কোন সম্পর্ক ছিল না বলেই এদিন পরিষ্কার হয়েছে তদন্তকারীরা। এদিন সুতপার এক স্থানীয় পরিচিত সহপাঠী জানাই, সুতাপা কোনভাবেই জঙ্গিপুর কলেজের ওই ছাত্রের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে নি, তার সঙ্গে সুশান্তর সম্পর্কের কথাই সুতাপা বারবার তার বান্ধবীদের বলে আসত। ফলে সব মিলিয়ে সুশান্ত আর সুতপার মাঝে আরকাঠি হিসেবে কাজ করা তৃতীয় ব্যক্তির সন্ধান এর ওপর ঘটনার নানান দিক নতুন করে নির্ভর করছে বলেই মনে করা হচ্ছে।