লিপস্টিক তৈরি করতে মূলত চারটি উপাদান ব্যবহার করা হয়। এগুলো হচ্ছে মোম, তেল, রঞ্জক এবং অ্যালকোহল। লিপস্টিকে দেওয়া মোম ও তেলের অনুপাত- রঞ্জক পদার্থ এবং অ্যালকোহলের অনুপাতের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। প্রথমে তেল, মোম এবং অ্যালকোহল এই তিনটি মৌলিক উপাদান গলানো হয়। এবং এগুলোকে একত্রে মিশ্রণ করে লিপস্টিকের বেস তৈরি করা হয়। এরপর সেই গলিত বেজে পিগমেন্ট বা রঞ্জক পদার্থ যুক্ত করা হয়। একেকটি রঙ এবং শেডের জন্য বিভিন্ন পরিমাণে রঞ্জক ব্যবহার করা হয়। এই রঞ্জকগুলো তরল বা পাউডার যেকোন ধরণেরই হতে পারে।
মিশ্রণটি কোমল হওয়ার জন্য এবং যাতে দলা পাকিয়ে না থাকে এ কারণে একটি রোলার মেশিন দ্বারা একে ভালোভাবে রোলিং করা হয়। রোলার মেশিন মিশ্রণ থেকে অতিরিক্ত তেল বের করে ফেলে। যে কারণে রোলিং মাধ্যমে মিশ্রণটি সামান্য কঠিন আকার ধারণ করে। আর একইসঙ্গে একটি স্মুদ টেক্সচারে পরিণত হয়। এরপর সম্পূর্ণ মিশ্রণটি বড় একটি পাত্রে ঢালা হয়। যেখান থেকে এগুলোকে ছোট ছোট ব্যাচে বিভক্ত করা হয়। এরপর মিশ্রনটি আবার গলানো হয় এবং এতে সুগন্ধী মেশানো হয়। তারপর গলিত দ্রব্য একটি ধাতব ছাঁচে ঢালা হয় যেটায় লিপস্টিকের প্রকৃত আকার অনুযায়ী একসঙ্গে অনেকগুলো ফাঁকা স্টিক থেকে থাকে।
এবার এগুলো জমাট বাধা এবং শক্ত হওয়ার জন্য রেফ্রিজারেটরে রাখার পালা। রেফ্রিজারেটরে ৫ মিনিটের জন্য লিপস্টিক মোল্ড বা ছাঁচটি রাখা হয়। শক্ত হয়ে গেলে লিপস্টিকগুলো ছাঁচ থেকে বের করা হয় এবং বিভিন্ন আকারের লিপস্টিক-হোল্ডার বা খাপে রাখা হয়। এভাবেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিগুলোয় লিপস্টিক তৈরি করা হয়। এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয়ের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।