বড় বড় নেতারা ঠিক নিজেদের সেটিং করে নেবে, কখনো এ দলে তো কখনো অন্য দলে’, দেব। লাগাতার সম্পূর্ণ অন্য ধাঁচে ছবি বার করে দর্শকদের উপহার দিচ্ছেন দেব। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছিল তার ‘টনিক’। এরপর আবার বড় পর্দায় দেব। ‘কিশমিশ’ যেন এখন বাঙালির ঘরে ঘরে। ‘টনিক’ এর পর ‘কিশমিশ’ ছবিও দেবের বাম্পার হিট। আদ্যোপান্ত প্রেমের গল্প কিশমিশ।
যখন সবাই রহস্যের পেছনে ছুটছে তখন ঝুঁকি নিয়ে লভস্টোরি পরিবেশন করেছেন প্রযোজক দেব। টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, তিনি সবসময় চেষ্টা করেন নতুন কিছু করার। বিভিন্ন রকমের ছবি করার। গল্পটা শুনেই তাঁর মনে হয়েছিল যে এটা নিয়ে ছবি তৈরি করা উচিত। কিন্তু কিশমিশ নিয়েও দেবকে পড়তে হয়েছিল বিপাকে।
লাল ঝান্ডা হাতে সিপিআইমের মিছিলে স্লোগান দিতে দিতে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদ দেবকে। দৃশ্যটির স্ক্রিনশট ভাইরাল হতেই নানান প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল দেবকে। অভিনেতার উত্তর, কাউকে অসম্মান করতে চাননি তিনি। শুনু বাস্তব চরিত্রগুলিকে তুলে এনেছেন। এমন অনেকেই আছেন যারা সত্যিই ‘দিদি’কে পুজো করেন। আবার তাঁর বাড়ির লোক এটা নিয়ে রেগে যায়। দেবের কাছে, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়।
তিনি কোন দলের সেটা তাঁর পরিচয় হতে পারে না। ব্যবহারই হোক মানুষের আসল পরিচয়। দেবের কথায়, “নিজের দলের হয়েও যখন প্রচারে যাই তখন এই কথাটাই বলি। বড় বড় নেতারা ঠিক নিজেদের সেটিং করে নেবে। কখনো এ দলে তো কখনো অন্য দলে। সমস্যাটা গ্রাসরুট লেভেলের রাজনীতিবিদদের। তাঁরা এমন শত্রুতা তৈরি করে নেয় যা সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করে না। নেতাদের কাজ মানুষকে লড়ানো নয়, বাঁচানো। আমি এই বার্তাটাই দিতে চাই, রাজনীতির মধ্যে থেকেও মানুষ যেন ভালবেসে থাকে।”