ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে ধানচাষে ক্ষতি-সর্বস্বান্ত চাষীদের মাথায় হাত! কৃষি প্রধান জেলা নদীয়া। এখানে মূলত ধান চাষ হয় করিমপুর, তেহট্ট, কালিগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, চাপরা থেকে শুরু করে শান্তিপুর, রানাঘাট, চাকদহ সহ একাধিক বিস্তীর্ণ গ্রাম এলাকা জুড়ে। সেখানে হাজার হাজার বিঘা ধান চাষ হয়। সূত্রের খবর,মূলত এই সময় চাষিরা বোরো ধান কেটে জমি থেকে বাড়িতে নিয়ে যায়। তারা প্রচুর টাকা খরচ করে তারা ধান চাষ করে। কিন্তু বিগত দুদিন এক টানা বৃষ্টি হওয়ায় চাষীদের ঘুম উড়েছে।
আর ও পড়ুন রামগঙ্গা নদী বাঁধ তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ
সঙ্গে ঝড় হওয়ায় জমিতেই ধান গাছ পরে গেছে। আর এর ফলে একহাঁটু জলের নিচে ধান ডুবে আছে।এ বিষয়ে চাষিরা বলেন, “দীর্ঘক্ষন জলের তলায় ধান ডুবে থাকলে সেই ধানে কল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যার কারণে ইতিমধ্যেই কল হতে শুরু করেছে ধানে। পাশাপাশি জলের তলায় পড়ে থাকলে যে বিচুলি দিয়ে সারা বছর গরুর খাবারের যোগান থাকে, সেই বিচুলি নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে এই সময় জন শ্রমিকের অভাব দেখা যায়। মজুরি বেশি দিও শ্রমিক পাওয়া যায় না।
যার কারণে ইচ্ছা থাকলেও তড়িঘড়ি ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসা যায় না।” এছাড়াও, চাষীদের দাবি, ” যে পরিমান জল জমে জমে আছে কোনভাবেই সেই ধান আর বাড়িতে তোলা যাবে না। যদিও শ্রমিকের সংখ্যা বেশি নিয়ে কোনরকম ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে বিচুলি হবে না। পাশাপাশি যে অর্থ খরচ করে ধান চাষ করা হয় সেই অর্থ উঠে আসবে না। ” আর এর পরে ভবিষ্যতে কিভাবে সংসার চালানো হবে তা নিয়ে প্রবল চিন্তায় নদীয়ার ধান চাষীদের অবস্থা অত্যন্ত সংকট জনক। ভারী বৃষ্টিপাতের