নদীয়ায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হয়ে দুবছর ঘরছাড়া বেশ কিছু তৃণমূল পরিবার! নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সারাগর নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী গোবিন্দ দাস। প্রায় দু বছর আগে তিনি নিজের এলাকাতেই গুলিবিদ্ধ হন।তাকে খুন করেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী বলেই জানা গিয়েছে। এর পরেই ওই এলাকার কয়েকজন তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
সন্দেহের বশে ওই রাতেই একাধিক পরিবারের ওপর আক্রমণ করা হয় বলে জানা যায়। সেসময় প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালান প্রায় ৯ টি পরিবার। এরপরই অবাধে তাদের বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাট চলে। প্রায় দুই বছর ধরেই তারা ঘরছাড়া। অবশেষে প্রশাসনের দরজা এবং জনপ্রতিনিধির দরজায় দরজায় ঘুরেছেন তারা বিচারের আশায়।
আর ও পড়ুন কালো মেঘে ঢাকা উত্তরবঙ্গের আকাশ
সূত্রের খবর,শান্তিপুরের নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক এবং শান্তিপুর পৌরসভার পৌরপতি এবং স্থানীয় কাউন্সিলর এর তত্ত্বাবধানে প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদেরকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। তবে,চোখেমুখে আতঙ্ক এখনও কাটেনি তাদের। তারা বাড়িতে রাত কাটাতেও রীতিমত ভয় পাচ্ছেন। তাদের দাবি তারা চলে যাওয়ার পর তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় এবং তাদের যা জিনিসপত্র ছিল অবাধে লুটপাট চালায় ওই এলাকারই কয়েক জন দুষ্কৃতী।
এ বিষয়ে এদিন ওই ঘরছাড়া পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পৌরপতি সুব্রত ঘোষ বলেন, “এই ঘরছাড়া পরিবারদের উপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছে তা এককথায় অমানবিক। আমরা আর্থিক দিক থেকে এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকে চেষ্টা করব তাদের সাহায্য করার। প্রশাসনকে এ বিষয়ে নজর রাখতে বলেছি যাতে এই ঘটনায় নতুন করে আবারো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং এই পরিবারগুলি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে যাতে বসবাস করতে পারে।”