পি কে হালদারের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ছয় জনের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তোলপাড় চলছে রাজ্যে। তাঁকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তাঁর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এদিন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। এখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যে বা যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।’ যদিও পি কে হালদার বা তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড তৈরির যে অভিযোগ উঠেছে, তা মানতে চাননি বনমন্ত্রী। এ বিষয়ে আগে থেকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন জানিয়ে বনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তথ্য জেনে তারপর বলতে পারব।
আরও পড়ুন – বেঙ্গল সাফারির মুকুটে জুড়ছে আরও এক নয়া পালক
কারণ, আমি একজন মন্ত্রী।’ ভারতীয় পরিচয়পত্র করে দেওয়ার ক্ষেত্রে পি কে হালদারকে সুবিধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে সঠিক ভারতীয় পরিচয়পত্র করা অত সোজা নয়। এই রকম ঘটনা যদি হয়ে থাকে, তাহলে তাঁর প্রমাণ আমার কাছে দিন।’ ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গতকাল শনিবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে অভিযান চালিয়ে সুকুমার মৃধা নামের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বাড়ি থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় আরও পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার রাতে কলকাতার আদালত পি কে হালদারকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান। বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া পি কে হালদার সেখানে থাকার জন্য ভারতের রেশন কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড ও আধার কার্ড করেছিলেন। ইডির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ইডি জানায়, শিবশংকর হালদার নামে কলকাতার অভিজাত এলাকায় বেশকিছু সম্পত্তিও কিনেছিলেন পি কে হালদার।