নিত্যদিনের চুরির ঘটনায় কার্যত পড়াশোনা লাটে ওঠার উপক্রম সরকারি স্কুলে! উত্তর মৌরি কেশবচন্দ্র নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে পরিস্থিতি এমনই স্কুল বন্ধ করার পরে মিড ডে মিলের চাল থেকে শুরু করে রান্নার সরঞ্জাম সবই রাখতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে। কারণ ভয় স্কুলের মধ্যে রাখলে তা চুরি হয়ে যাবে। এভাবেই দীর্ঘ দশ বছর ধরে একই পরিস্থিতি। এই দশ বছরে স্কুলের পাখা থেকে শুরু করে মিড ডে মিলের চাল, ডাল, ছাত্রদের বই খাতা এমনকি ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ স্কুলের পোশাক, জুতো অব্দি চুরি গেছে।
এভাবে চুরি হওয়াতে পঠন পাঠন লাটে উঠতে বসেছে স্কুলে। স্থানীয় থানা থেকে প্রশাসনিক স্তরে বিস্তর অভিযোগ জানিয়েও বন্ধ করা যায়নি চুরির ঘটনা। চোর ধরা তো দুরহস্ত। এভাবে চলতে থাকলে চোর ধরতে স্কুলের পড়াশোনা উঠে যাওয়ার যোগাড় হয়েছে স্কুলে এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্কুলের শিক্ষক থেকে ছাত্রদের অভিভাবকেরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মালতি রায় অভিযোগ করেন নিত্যদিন চুরির ঘটনায় পড়াশোনা উঠে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে তাদের। চুরি বন্ধ করার জন্য এখন তারা মিড ডে মিলের রান্নার সরঞ্জাম স্থানীয় লোকেদের বাড়িতে রাখেন।
আর ও পড়ুন সালিশি সভায় যুবককে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরানো হলো
প্রতিদিনের যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই তারা রোজ নিয়ে আসেন। স্কুলের মধ্যে আর তারা খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখেন না। দশ বছর ধরে চুরি হলেও প্রশাসনের সর্বস্তরে জানিয়েও কোনো সুরাহা পান নি তারা। তারা চান অবিলম্বে চোর ধরার ব্যবস্থা করুক পুলিশ প্রশাসন। আর পাশাপাশি স্কুলে গার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ প্রতিম পাল একই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আশি বছর এই স্কুলের বয়স। তিনি স্কুলের জন্য একটি কম্পিউটার দিয়েছিলেন। তবে সেই কম্পিউটার চুরি যাওয়ার ভয়ে আবার বাড়ি নিয়ে এসেছেন। চোর ধরার কোনো সাহায্য তারা পাননি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। খুবই অসুবিধার মধ্যে রয়েছে স্কুলের শিক্ষক থেকে দুশো জনের অধিক ছাত্ররা। তিনি আরো বলেন প্রধান শিক্ষিকা স্কুল চালাবেন না প্রশাসনিক কর্তাদের পেছনে চোর ধরতে ছুটে বেরাবেন। তারা চান অবিলম্বে চোর ধরার ব্যবস্থা করুক পুলিশ। স্কুলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। নিত্যদিনের