শুক্রবার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে বোলপুর এসেছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি। বোলপুরের একটি বেসরকারি হোটেলে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর আচার্য হওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্ত্যব করেন লকেট চ্যাটার্জি। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন লকেট। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতি ঢাকতেই এই কাজ করা হচ্ছে। রাজ্যপাল আচার্য থাকলে, তিনি সব দেখতে পারেন। সেই অধিকার আছে তাঁর। দুর্নীতি সামনে আনতে পারবেন।’’
এর পর তাঁর সংযোজন, ‘‘আগেও আমরা সারদা-কাণ্ডের সময় দেখেছি, এ ভাবেই দুর্নীতি ঢাকতে বড় অফিসারদের সরিয়ে দিয়েছিলেন উনি।’’ উল্লেখ্য, এই একই ইস্যুতে ফেসবুকে একটি কটাক্ষপূর্ণ পোস্ট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরাও। তবে শুধু যে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তিনি কটাক্ষ করেন তা নয়। গরু পাচার এবং ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ এই দুই মামলায় সম্প্রতি তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতকে তলব করেছে সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শুক্রবারও সিবিআই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। এ নিয়েও কটাক্ষ করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ।
আরও পড়ুন – ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট বদল করে সরকারি ব্যাঙ্কে বেসরকারিকরণের পদ্ধতি শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার
বলেন, ‘‘কোনও আয়ের উৎস ছাড়া কোথা থেকে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন অনুব্রত?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘মানুষের টাকা হাতিয়েছেন। আর যখন সিবিআই গরু পাচার মামলায় তাঁকে ডাকছে, তখনই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তিনি (অনুব্রত) যে ভাবে বীরভূম জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছেন, তাতে শাস্তি তাঁকে পেতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সিবিআই অনুব্রতকে দ্রুত হেফাজতে নিক। তা হলেই সব সামনে আসবে। পিছনে আরও বড় মাথারা আছে, তারাও সামনে আসবে।’’ দুর্নীতি ঢাকতেই