আপনি কি জানেন কেন এটিএম-এ 4-সংখ্যার পিন থাকে । এটিএম সম্পর্কে 6 তথ্য যা আপনাকে অবাক করে দেবে! আমরা এগুলিকে নিয়মিত ব্যবহার করি এবং এটিএম-এর জন্য ধন্যবাদ, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ শেষ কবে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম তাও মনে নেই! নগদ তোলা থেকে শুরু করে আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করা এমনকি নগদ জমা করা পর্যন্ত, আপনি এটিএম-এর মাধ্যমে সবকিছু করতে পারেন! প্রতিটি ব্যাঙ্কে একাধিক এটিএম মেশিন রয়েছে এবং আমাদের দেশের, শহরাঞ্চলে প্রতি কিলোমিটারে গড়ে কমপক্ষে 5টি এটিএম মেশিন রয়েছে এবং গ্রামে প্রতি ব্যাঙ্কে কমপক্ষে একটি এটিএম রয়েছে!
এটি যখন আমাদের জরুরী নগদের প্রয়োজন হয় তখন আমাদের সাহায্য করে এবং যদি আমরা কখনও কোথাও আটকে থাকি, তারা একটি আশীর্বাদ। ভ্রমণকারীদের জন্য, এটিএম মেশিন একটি ঈশ্বরের প্রেরন কারণ তারা জানে যে তারা যদি কোথাও আটকে থাকে এবং আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে সাহায্য হাতে রয়েছে৷ কিন্তু যখন আমরা এই সুবিধাজনক মেশিনগুলি নিয়মিত ব্যবহার করি, আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি যে এই মেশিনগুলি আসলে কীভাবে তৈরি হয়েছিল?
অথবা কেন তারা ঠিক তাদের মতো কাজ করে – কেন তাদের 4-সংখ্যার পিন আছে? এটিএম কার্ড ডোরাকাটা কেন? এটিএম মেশিন কীভাবে আপনি যে মূল্যবোধটি পান তা যাচাই করে এবং আপনি যদি বেশি পরিমাণে প্রবেশ করেন তবে সেগুলি আপনাকে বিভিন্ন মূল্য দেওয়ার জন্য কীভাবে প্রোগ্রাম করা হয়? এটিএম মেশিন সম্পর্কে অনেক মজার তথ্য রয়েছে যার সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা নেই! এখানে, এই পোস্টটি পড়ুন এবং আপনার বিভ্রান্তি দূর করুন!
পিন টাকা সুরক্ষিত রাখে
ATM থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে কোনও রকেট সায়েন্স নেই। ATM থেকে টাকা তোলা অত্যন্ত সহজ। যে কোনও ব্যক্তি ATM থেকে খুব সহজেই টাকা তুলতে পারেন। একটি পিন অর্থাৎ পাসওয়ার্ড দিয়ে এই টাকা সুরক্ষিত রাখা হয়। ATM কার্ড ব্যবহারকারী একমাত্র সেই পাসওয়ার্ড বা পিন জানেন। এই পিন হয় 4 ডিজিটের। কিন্তু অনেকেই জানেন না কেন এই পিন বা পাসওয়ার্ড 4 ডিজিটেরই হয় কেন?
1. এটিএম পিনের 4 সংখ্যা কেন?
ওয়েল, এই একটি মজার উত্তর. গল্পটি চলে, যখন এটিএম মেশিনের নির্মাতা, জন শেফার্ড-ব্যারন, প্রথম মেশিনটি ডিজাইন করেছিলেন, তখন তিনি পিনটিকে দীর্ঘ ছয় অঙ্কের রাখতে রেখেছিলেন – যাতে সমন্বয়গুলিকে আরও বড় এবং আরও জটিল করে তোলা যায়। যাইহোক, তার স্ত্রী ক্যারোলিন মারে এর মতামত ছিল যে 6 সংখ্যা দুটি খুব বেশি এবং লোকেরা তাদের পিন ভুলে যেতে থাকবে। তিনি নিজেই মনে রাখা কঠিন বলে মনে করেন এবং তাই, তিনি সংখ্যাটি 4 সংখ্যায় নামিয়ে আনেন যা মনে রাখা সহজ মনে হয়!
2. টাকার বদলে সোনা
হ্যাঁ, বিলকুল সত্যি কথা। কার্ড সোয়াইপ করলে সেই এটিম থেকে বেরয় সোনার বার, কয়েন আর গয়না! দুবাইয়ে আছে এমন এটিএম। এমিরেটস প্যালেস হোটেলের সামনে। ৩২০ রকমের সোনার পণ্য নিতে পারেন এখান থেকে!
3. নির্জন এটিএম
২ টো এটিএম আছে আন্টার্টিকায়। তবে ব্যবহার করা যায় একটা। প্রথমত, সারা বছরই এলাকা থাকে বরফের নীচে। দ্বিতীয়ত, প্রথম এটিএমের কিছু হলে দ্বিতীয়টি ব্যাক আপ হিসাবে কাজ করে। কারণ, মেশিন সারাতে হলে ১০ মাস আগে থেকে আন্টার্টিকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হয়। পুনঃশ্চ- এটিএমের উদ্ভাবক জন আদ্রিয়ান শেফার্ড ব্যারনের সঙ্গে ভারতের যোগ আছে। জন্মসূত্রে তিনি ভারতীয়। শিলংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মেয়ে ডরোথি ব্যারন উইলম্বণে মহিলাদের ডাবলস চ্যাম্পিয়ান।
4. সবচেয়ে উঁচু এটিএম
এটাও ভারতে অবস্থিত। ভারতের ইউনিয়ান ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দ্বারা পরিচালিত এই এটিএম আছে নাথু-লা-তে। সেনাবাহিনীর অফিসার এবং পর্যটকদের সুবিধার জন্যই এখানে লাগানো হয়েছে এই মেশিন। বেশীরভাগ সময়েই গোটা এলাকা বরফে ঢেকে যায়। মাইনাস তাপমাত্রাতেও এটিএম ব্যবহারের বিশেষ সুবিধা আছে এখানে।
আরও পড়ুন – লাল চা, ‘গ্রিন টি’-র পর এবার বাঙালির কাপে পড়তে চলেছে নীল চা
5. ভারতে প্রথম এটিএম
এটিএমের উদ্ভাবন হয়েছিল ১৯৩৯ সালের প্রথমদিকে। ভারতে প্রথম এটিএম ইনস্টল করা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে, মুম্বাইয়ে। লাগিয়েছিল এইচএসবিসি ব্যাঙ্ক। তবে সেটি সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারত না। সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরাই সেই এটিএম ব্যবহার করতেন। সেই সময় কোর ব্যাঙ্কিং এমন ছিল না। তাই এটিএম থেকে টাকা তুললে অ্যাকাউন্টে সেটি ডেবিট হিসাবে দেখানো হত।
6. ভাসমান এটিএম
এমন একমাত্র ভারতেই সম্ভব। এই ফ্লোটিং বা ভাসমান এটিএম দেখতে পাওয়া যায় কেরালায়। এসবিআই লাগিয়েছে এই এটিএম। যারা প্রতিদিন জেটি ব্যাবহার করে তাঁদের পরিষেবার জন্য এই এটিএম। হোয়াট অ্যান আইডিয়া স্যারজি।