ফলহারিনী কালীপুজো উপলক্ষে বিশেষ নজরদারি। আগামীকাল ফলহারিনী কালীপুজো। আর এই উৎসব উপলক্ষ্যে চলে শিকার উৎসব। প্রতি বছর এই উৎসব কে সামনে রেখে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া,ঝাড়গ্রাম থেকে দলে দলে শিকারী ছড়িয়ে পড়ে হাওড়া গ্রামীন জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের হাতে মারা পড়ে বাঘরোল, সিভেট ক্যাট, পাম সিভেট, বেজি, গোসাপ সহ অসংখ্য বন্যপ্রানী। আর সেই কারণেই চলতি বছরে এই শিকারীদের ঠেকাতে উদ্যেগ নিয়েছে বন দপ্তর।
এই শিকারীদের হাত থেকে বন্যপ্রানী হত্যা রুখতে বন দপ্তর থেকে শুরু করে হাওড়া গ্রামীন জেলা পুলিশ , জি আর পি , আর পি এফ ও হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চ একযোগে অভিযানে নেমেছে। তারা যৌথভাবে জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে রাজ্য সড়ক, রেলওয়ে স্টেশনে তিনদিন ধরে চালাচ্ছে নাকা চেকিং। তিনদিনের এই নজরদারিতে শিকারীদের হাতে একটিও বন্যপ্রানীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল না।
কড়া নজরদারির সুফল হিসেবে শিকারীদের ঠেকাতে সমর্থ হল প্রশাসন থেকে শুরু করে পরিবেশ প্রেমী সংগঠন গুলি। ২০১৯ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে পরিবেশ রক্ষার্থে পশুপাখি, বন্যপ্রানী নিধন রোধে বনদপ্তরের পাশাপাশি সাধারণ প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে একযোগে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।
ফলহারিনী কালীপুজো উপলক্ষ্যে বন্যপ্রানী হত্যা রুখতে কোমর বাঁধে বন দপ্তর। সম্প্রতি বনদপ্তরের হাওড়া বিভাগের উদ্যোগে বীরশিবপুরের ওম দয়াল কলেজে জনপ্রতিনিধি,সাধারন প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,রেলওয়ে পুলিশ, আরপিএফে’র আধিকারিকদের নিয়ে একটি সমন্বয় বৈঠক হয়।বনদপ্তরের হাওড়া বিভাগের আধিকারিক নিরাঞ্জিতা মিত্র।
সভায় হাওড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অন্তরা সাহা,বাগনান এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন দাস, উলুবেড়িয়ার এসডিপিও রাঘব এস সহ একাধিক পরিবেশ প্রেমী সংগঠন উপস্হিত ছিলেন। সেই বৈঠকে স্হির হয় বন্যপ্রান নিধন রোধে ষ তিনদিন হাওড়া জেলার গ্রামীন এলাকার বিভিন্ন রেলস্টেশন ও সড়কপথের দশটি জায়গায় নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি বন্যপ্রানীর অধিক্য রয়েছে এমন জায়গা গুলিতে কড়া নজরদারি থাকবে। সেই মতো এই তিনদিন ধরে নিবিড় নজরদারিতে সাফল্য এল।