কালবৈশাখী ঝড়ে দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে রবিবার বিকাল ৪ টে নাগাদ দুটি বাসের ভয়াবহ সংঘর্ষে গুরুতর জখম হলেন দুটি বাসের চালক সহ ৪০ জন যাত্রী। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল ও স্থানীয় খড়িপুকুরিয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মারিশদা থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ আচমকাই কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। তখনই কলকাতা থেকে দিঘাগামী আসছিল একটি এসি বাস। উল্টোদিক থেকে দিঘা থেকে নৈহাটি যাচ্ছিল একটি যাত্রীবোঝাই বাস। দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে মারিশদা নাচিন্দা মন্দির সংলগ্ন কাছে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার ফলে আহত হয় দুটি বাসের চালক সহ প্রায় ৪০ জন যাএী। ঝড় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্ধার করতে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দুটো ছুটে আসে মারিশদা থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।
এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। আহত বাসযাত্রীরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক যাত্রীবাহী বাস ও পণ্য বোঝাই লরি। পাশাপাশি দিঘা থেকে ফেরার পথে আটকে পড়ে অনেক পর্যটকের গাড়িও। দুটি বাস সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে মারিশদা থানার পুলিশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি বাস আটক করে থানায় নিয়ে যায়।এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থায় আশাঙ্খজনক বলে জানাগেছে।
আরও পড়ুন – রানাঘাটে ‘মন কি বাত’ এ উপস্থিত হয়ে শাসক দলকে নিশানা দিলীপের
মারিশদা থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন ” ঠিক কি কারণে এমন দুর্ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আহত বাস যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য কাঁথি ও খড়িপুকুরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঝড় বৃষ্টির ফলে এমন দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে “।
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা প্রসূন করণ বলেন ” হঠাৎ ঝড় বৃষ্টির মধ্যে আওয়াজ শুনতে পাই। ছুটে গিয়ে দেখি কান্নার রোল। আহত বাস যাত্রীদের উদ্ধার করতে হাত লাগাই “।