তিনবেলা নুডলস খাওয়ানোয় স্ত্রীকে ডিভোর্স

তিনবেলা নুডলস খাওয়ানোয় স্ত্রীকে ডিভোর্স

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

তিনবেলা নুডলস খাওয়ানোয় স্ত্রীকে ডিভোর্স। কর্ণাটকে সকাল, দুপুর, এমনকি রাতের খাবারেও নুডলস দেয়াতে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। এভাবে দীর্ঘদিন নুডলস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাগে-ক্ষোভে স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। জানা গেছে, মাইসুরুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম এল রঘুনাথের পর্যবেক্ষণে বিবাহ বিচ্ছেদের এ ঘটনা উঠে আসে। বিচারক রঘুনাথ জানান, তিনি যখন কর্ণাটক রাজ্যের বল্লারির জেলা আদালতের বিচারক ছিলেন, তখন তার কাছে এ ধরনের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন আসে।

আরও পড়ুন – রানাঘাটে ‘মন কি বাত’ এ উপস্থিত হয়ে শাসক দলকে নিশানা দিলীপের

আবেদনে ওই নারীর স্বামীর অভিযোগ ছিল, নুডলস ছাড়া আর কোনো খাবার রান্না করতে জানতেন না তার স্ত্রী। তাই তাকে সকালের নাশতা, দুপুর ও রাতের খাবার হিসেবে নুডলসই দিতেন স্ত্রী। ওই ব্যক্তি আরও অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী দোকানে গিয়ে শুধু ইনস্ট্যান্ট নুডলসই কিনে আনতেন। রঘুনাথ জানান, শেষ পর্যন্ত উভয়ের সম্মতিতে ওই দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিচারক রঘুনাথ আরও বলেন, দিনকে দিন এ ধরনের মামলা বাড়ছে।

 

বিবাহ বিচ্ছেদ চাইতে হলে কোনো দম্পতিকে কমপক্ষে এক বছর এক সঙ্গে থাকতে হয়। এ ধরনের কোনো আইন না থাকলে বিয়ের আসর থেকেই বিচ্ছেদের আবেদন আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন রঘুনাথ। বিচারক রঘুনাথ আরও বলেন, ‘বিয়ের মাত্র এক দিন পরই বিচ্ছেদের মামলা আসতে দেখা গেছে। সঙ্গীর সঙ্গে কথা না বলা, খাবার প্লেটের ভুল দিকে লবণ দেয়া, স্ত্রীকে বাইরে নিয়ে না যাওয়াসহ নানা কারণে আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা আসারও কথা জানান তিনি।’

 

জানা গেছে, দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার বেশিরভাগই শহুরে এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের মধ্যে হয়ে থাকে। গ্রামে পঞ্চায়েত সেই পারিবারিক ছোট-খাটো ইস্যুগুলো সমাধান করে দেয়। গ্রামীণ নারীদের স্বাধীনতা খুব একটা নেই বললেই চলে। তাই নির্যাতন চললেও সমাজ ও পরিবার সংসার চালিয়ে যাওয়ার কথা বলে। রঘুনাথ বলেন, “তবে শহরগুলোতে নারীরা শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তাই তারা বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করতে দ্বিধা করেন না।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top