রক্ষকই ভক্ষক, দুই পুলিশ কর্মীই পুলিশ সেজে ব্যবসায়ীর রুপো লুট, গ্রেফতার ৫

রক্ষকই ভক্ষক, দুই পুলিশ কর্মীই পুলিশ সেজে ব্যবসায়ীর রুপো লুট, গ্রেফতার ৫

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

রক্ষকই ভক্ষক সামনে উঠে এলো অবাক করা তথ্য। দুই পুলিশ কর্মীই পুলিশ সেজে ব্যবসায়ীর রুপো লুট। দুই পুলিশ কর্মী সহ গ্রেফতার মোট ৫ জন।

 

হাওড়া স্টেশন থেকে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে রুপো চুরি কাণ্ডে বড়ো সাফল্য পুলিশের। সূত্রের খবর রহস্যের কিনারা করতে গিয়ে চোখ কপালে উঠলো তদন্তকারী অফিসারদের। গোটা ঘটনায় এখনও অব্দি গ্রেফতার দুই জুন। গতকাল নিউটাউন থেকে সাদা গাড়িতে তার থেকে রুপো ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত। বড়বাজার থানাতে ব্যবসায়ীর করা লিখিত অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ আধিকারিকরা।

 

সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে ও নিজেদের সোর্স মারফৎ ওই দুই অভিযুক্তকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই দুই ব্যাক্তির বিবরণ সামনে আসতেই চোখ কপালে ওঠে অধিকারীদের। এদের মধ্যে একজন সমীরণ পাত্র যিনি হাওড়া সিটি পুলিশের বি গার্ডেন থানাতে কনস্টেবল পদ মর্যাদায় কর্মরত রয়েছেন। অপরজন সুরজিৎ সরকার তিনি হাওড়া সিটি পুলিশের শিবপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত। এদের মধ্যে সমীরণ পাত্র কে বি গার্ডেন থানা এলাকা থেকে ও সুরজিৎ সরকারকে শিবপুর পুলিশ লাইন থেকেই বড়বাজার থানা গ্রেফতার করে। এছাড়াও এই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে আব্দুর সালাম শেখ ( জয়নগর), সঞ্জয় কুমার শাহ, ফিরোজ মন্ডল (উত্তর ২৪ পরগনা) এলাকার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন – নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ

সঞ্জয়ের থেকে সাদা রঙের একটি এম্ব্যাসডার গাড়িও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এই গাড়িটি গতকাল ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। এদের সকলকেই আজকে কলকাতায় ব্যাংকশাল কোর্টে হাজির করা হবে। ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধান করার জন্য পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে বলেই বড়বাজার থানা সূত্রের খবর। পাশাপাশি সাড়ে ছয় কেজি রুপো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও মঙ্গলবার দিন ঘটনা ঘটার দিন সমীরণ মান্না নামের ওই ব্যবসায়ী হাওড়া থেকে নিউটাউনের বাসে উঠেছিলেন। বিশ্ব বাংলা গেটের সামনে নামলে একটা সাদা এম্ব্যাসডার সহ বেশ কয়েকজন সহ তার সামনে এসে দাঁড়ায়।

 

তারা তাকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা জানায়। এদের মধ্যে সমীরণ পাত্র ও সুরজিৎ সরকার নিজদের পুলিশ কর্মী বলেই দাবি করেন। এরপরই তিনি গাড়িতে উঠলে তার কাছে থাকা রুপো কেড়ে নেয় তারা। তাকে এক অজানা স্থানে নামিয়ে দিয়ে তারা গাড়ি নিয়ে চলে যায়। এরপর ওই ব্যবসায়ী বড়বাজার থানাতে লিখিত অভিযোগ জানান। লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে বড়বাজার থানার পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাতে ওই সাদা গাড়িটি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। গাড়ির মালিকের সূত্র ধরে পুলিশ আটক করে সঞ্জয়কে। তাকে জেরা করে বাকিদের নাম উদ্ধার করে আধিকারিকরা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top