সন্ধ্যার নামতেই হাতির দলের তাণ্ডব শুরু, আতঙ্কিত ঝাড়গ্রামের বাসিন্দারা। ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া ,পাচামি , ছোট চাঁদাবিলা এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফের হাতির দল এর আগমন। প্রায় 70 থেকে 80 টি হাতি পাচামি এলাকায় রাস্তার উপর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী জামবনি ব্লক এর কুমরী, শুষনি, কেন্দুয়া ,বাহিরগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ওই হাতির দলটি তান্ডব শুরু করেছে। যার ফলে যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার গ্রামবাসীরা। কয়েকদিন ধরেই হাতির দলটি ঝাড়গ্রাম ও জামবনি ব্লক এর বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব শুরু করেছে।
ঘরবাড়ি ভাঙচুর এর পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি করছে হাতির দল, তেমনি বিভিন্ন ফলের বাগানে গিয়ে আম কাঁঠাল খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার যেভাবে হাতির দলটি সন্ধ্যার মুখে ওই এলাকায় এসে তাণ্ডব শুরু করেছে তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা । রাস্তার উপর হাতির দল দাপিয়ে বেড়ায়, এলাকার মানুষ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না। সন্ধ্যার পর কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। কয়েকদিন হাতির তাণ্ডব এর ফলে গ্রামবাসীরা রাতে ঘুমোতে পারেনি। গ্রামবাসীরা বিষয়টি বন দফতর কে জানিয়েছে । কিন্তু বন দপ্তরের কাজে খুশি নয় ওই এলাকার বাসিন্দারা। বারবার জানানো সত্ত্বেও বনদপ্তর হাতির দলকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করেনি।
আরও পড়ুন – নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ
যার ফলে বন দফতরের ওপর মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। যেভাবে সন্ধ্যা নামতেই 70 থেকে 80 টি হাতির দল ওই গ্রামগুলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে সন্ধ্যে ছটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত ওই এলাকার জঙ্গল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে । হাতিকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে। হাতির যাত্রা পথে বাধা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে ওই এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে সতর্ক থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা রয়েছেন।
সেই সঙ্গে হাতি তাড়ানোর কাজে যুক্ত হুলা পার্টির সদস্যগন রয়েছে। বুধবার রাতে গ্রামে হাতির দল ঢুকে পড়ায় গ্রামবাসীদের সাথে হাতি তাড়াতে গিয়ে সাপের ছোবল খেয়ে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জামবনি ব্লক এর পিপড়ি গ্রামের বাসিন্দা রাজু ভুক্তা নামে এক যুবক। ওই ঘটনার পর রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু যেভাবে হাতির দল ঝাড়গ্রাম ও জামবনি ব্লকের সীমান্তবর্তী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাতে হাতির হামলার আশঙ্কায় যেমন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা, তেমনি ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি করবে হাতির দল বলে গ্রামবাসীরা আশঙ্কা করছেন।