রাতভর বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার দাপটে পাহাড়ে ধস! সেবকে পাহাড়ে ধসে বড় পাথরের চাই এসে পড়ে চারচাকা গাড়িতে একটুর জন্য প্রান রক্ষা পেলো পর্যটকদের। শনিবার রাতভর লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে পাহাড়ের সেবকে ধস নামে।
পাহাড় ধসের মুখে রবিবার রঙলী রঙলিয়ট, সুকিয়াপোখড়ি, সেবক করোনেশন সেতুর কাছে ধস নামে। রবিবার কালিঝোরড়ার কাছে সেবকের জাতীয় সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পেল্লায় পাথরের চাই গড়িয়ে পড়তে লাগে। এদিন সকালে একটি পর্যটকদের গাড়িতে এসে পড়ে বিশালাকৃতি একটি পাথরের চাঁই। গাড়িটি মাঝ রাস্তার ওপর ধসের মুখে পড়ে উল্টে যায়। তবে ওই গাড়িতে সেসময় কেউ ছিলেন না। গাড়ি যাত্রীর এদিন সেবকে বেড়াতে এসেছিলেন। ঘটনার সময় সেবক কালিমন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন গাড়ির যাত্রীরা।
আরও পড়ুন – রসায়ন গবেষণায় সাফল্য দাঁতনের মিলন প্রামাণিকের!
যার জেরে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ধসের জেরে বড় দুর্ঘটনায় এড়ানো গিয়েছে। তবে পাথরের চাই এসে গাড়িটি উলটে যাওয়ায় বেশ কিছুক্ষন সেবক জাতীয় সড়কের ওপর যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। দ্রুত জেলা প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলায় দল ধস সরানোর কাজে নেমে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। অন্যদিকে পাহাড় ধসের জেরে রঙ্গোলি রঙ্গোলিট ব্লকে গাছ পড়ে একটিবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোড়বাংলোয় সুকীয়াপোখড়ি ব্লকের মানেভঞ্জনে এলাকাও পাহাড়ের ধসের মুখে। মিরিক ব্লকের গয়াবাড়ী এলাকা গাছ উপরে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে জাতীয় হাইওয়ে ডিভিশন দ্রুত ধস সরিয়ে পরিবহন সচল করে।
অপরদিকে শিলিগুড়িতে দুপুর ১২.৪০নাগাদ তুমুল ঝোড়ো হওয়া বইতে লাগে। হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় রেড ক্রসের সামনে গাছের মক ডাল ভেঙে পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে। ছুটির দিনেও বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের কর্মীরা কাজে হাত দেন। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় গাছের ডালপালা পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে পড়ে। বেশ কিছু জায়গায় স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও দ্রুততার সঙ্গে তা সারাই করে তোলা হয়। ছুটির দিনেও রাস্তায় নিকাশি ব্যবস্থা সচল রাখতে কাজে নামে পুরনিগমের কর্মীরা। রাতভর বৃষ্টি