দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের জেরে হাঁসুয়া দিয়ে দুই মহিলা সহ তিনজনকে কোপানোর অভিযোগ

দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের জেরে হাঁসুয়া দিয়ে দুই মহিলা সহ তিনজনকে কোপানোর অভিযোগ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের জেরে হাঁসুয়া দিয়ে দুই মহিলা সহ তিনজনকে কোপানোর অভিযোগ উঠলো। আহত তিনজনকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার অগ্রদ্বীপের ঘটনা। জানা যায়, দুই পরিবারের পাশাপাশি বাড়ির মধ্যে ফুটপাঁচেক চওড়া একখণ্ড জমি নিয়ে বিবাদ। তার জেরে বচসা থেকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানো হয় দুই মহিলা সহ তিনজনকে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে অগ্রদ্বীপের গাজিপুর বেলেঘাটাপাড়ায় পাশাপাশি বাড়ি ঝড়ু রাজোয়ার এবং মানিক রাজোয়ারদের। ঝড়ু রাজোয়ারদের বাড়ির পিছনে ফুট পাঁচেক চওড়া একটুকরো ফাঁকা জায়গা রয়েছে। ওই জায়গা নিয়ে ঝড়ু রাজোয়ার ও মানিক রাজোয়ারদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল। ঝড়ু রাজোয়ারের এক ভাইপো সঞ্জয় রেলের ঠিকাদারের অধীনে কাজ করেন। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাত প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ।

 

সঞ্জয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়িতে ঢোকার আগে রাস্তায় দেখা হয় মানিক রাজোয়ার, তারক রাজোয়ারদের সঙ্গে। ওই জায়গার প্রসঙ্গ তুলে সঞ্জয়ের সঙ্গে তাদের বচসা শুরু হয়। সঞ্জয় জানান মানিক, তারক রাজোয়াররা সেসময় তাকে মারধর করতে শুরু করে। চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন বেড়িয়ে আসেন। অভিযোগ, সঞ্জয়ের বাড়ির লোকজন বেড়িয়ে আসতেই মানিকদের পরিবারের আরও কয়েকজন হাঁসুয়া, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে বেড়িয়ে আসেন। এরপরেই তারা সঞ্জয়ের পরিবারের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন – এই দুর্গে রাত কাটালেই মৃত্যু নিশ্চিত, জানেন কোথায় আছে এই দুর্গ, কি তার রহস্য

হাঁসুয়ার কোপে জখম হন সঞ্জয়ের কাকিমা লক্ষীদেবী, জ্যাঠা ঝড়ু রাজোয়ার এবং ঠাকুমা পুষ্প রাজোয়ার। অল্পবিস্তর জখম হন পুস্পদেবীর স্বামী রাবণ রাজোয়ারও। আহতরা রক্তাক্তবস্থায় পড়ে থাকেন। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে রাতে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাদের। গভীর রাতেই লক্ষীদেবীকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়ার পথে লক্ষ্মী রাজোয়ারের মৃত্যু হয়। অগ্রদ্বীপের গাজিপুরে বেলেঘাটাপাড়ায় তার বাড়ি। এই ঘটনায় মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top