ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে শুরু হল সামার ওয়ার্কশপ! সামার ওয়ার্কশপের শুরু হল ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে।এদের মধ্যে বেশিরভাগই জঙ্গলমহল এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা। কেউ কেউ পরিবারের মধ্যে ফার্স্ট জেনারেশন লার্নার। কেউ কেউ কৃষক পরিবারের সন্তান। কিন্তু বেশরভাগই নিজেদের পারিবারিক পরিচয় প্রকাশ করতে লজ্জা পায়। কৃষক পিতার সন্তান হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে কুন্ঠাবোধ করে।
রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা ড. জয়শ্রী লাহা বলেন, ছেলেমেয়েদের শুধু বিজ্ঞান পড়ার জন্য জোর করে ঠেলে দেবেন না। আর্টস কমার্স ও অর্থনীতি পড়েও অনেক ভালো চাকরি পাওয়া যায়। বাচ্চাদের ভালোলাগার জায়গাটা বুঝুন। ওদের একটা নিজস্ব জগৎ রয়েছে, নিজেদের পছন্দ রয়েছে সেটা না বুঝে নিজেদের না-পাওয়া গুলোকে ওদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না।
আরও পড়ুন – এই দুর্গে রাত কাটালেই মৃত্যু নিশ্চিত, জানেন কোথায় আছে এই দুর্গ, কি তার রহস্য
ভালো ছাত্র হয়ে ওঠার আগে ভালো মানুষ হওয়াটা অনেক বেশি জরুরি। চারাগাছে জল দিয়ে আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শ্রী অম্লানকুসুম ঘোষ। স্বাগত ভাষনে অংশগ্রহণকারীদের হাতেকলমে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বোঝান ওয়ার্কশপের চিফ প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মাখনলাল নন্দ গোস্বামী। পেশায় পুলিশকর্তা তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শ্রী অম্লানকুসুম ঘোষকে দেখা গেল একদম অন্য ছন্দে।
কচিকাঁচাদের মাঝে নিজেকে প্রকাশ করলেন একজন শিক্ষক হিসেবে। শুধু বক্তৃতা নয়, বরং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ইন্টার্যাকশন ও প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন মোরালিটি ও এথিক্সের পার্থক্য। এর পর পদার্থবিজ্ঞানের একেরপর এক পরীক্ষা, কখনো ভিডিওর মাধ্যমে আবার কখনো হাতেনাতে করে দেখিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেন উনআশি বছরের ‘তরুণ’, মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা সায়েন্স সেন্টারের কর্নধার শ্রী সুচাঁদ কুমার পান। সামার ওয়ার্কশপ