সহজ ইংরেজি বানান বলতেই ভ্যাবাচ্যাকা! রাস্তায় অবরুদ্ধ করে পাশ করাতে হবে আকাশ কুসুম দাবি পড়ুয়াদের। নেপথ্যের রাজনৈতিক উস্কানিতেই কি জেলায় জেলায় বেপরোয়া ভাব উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের।কোনোরকম মদত কিনা থাকলে জেলায় জেলায় একই সময়তে ধারাবাহিক ভাবে সংগঠিত হয়ে একই দাবি তুলছে তারা। এর পেছনে রয়েছে বিজেপির উস্কানি বলেই দাবি করছে বিবেচক মহলের একটা বড় অংশ! এ যেন মই নিয়ে হাত বাড়িয়ে চাঁদ ধরার কাহিনী! প্রাথমিক স্কুলের সহজ সরল ইংরেজি বানান বলতে পারছে না উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য পড়ুয়ারা দল। স্কুলের গন্ডি, ছাত্র শিক্ষকের শৃঙ্খলা ভেঙে বেপরোয়াবাজের সীমারেখা ছাড়িয়ে সড়ক অবরোধের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ করেও এক্কেবারে নির্লিপ্ত পড়ুয়া।
প্রশ্যয় যোগাচ্ছেন অভিভাবকেরা। সোমবার শিলিগুড়ির হাসমিচকের মতো শহরের কেন্দ্রে ব্যস্ততম এলাকায় রাস্তা অবরুদ্ধ করে বসে পড়ে এলদল ফাঁকিবাজ অনুত্তীর্ন পড়ুয়ারা। বাধ্য হয়ে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে অবরোধ সরিয়ে দেয়। তাদের দাবি পাশ করাতে হবে। পরীক্ষাও নাকি ভালো হয়েছে। তবে কোনোরকম নিয়ম অনুযায়ি পরীক্ষার খাতা পুনঃমূল্যায়ন রিভিউ করবেন না। তাদের কোভিডের সময়তে পাশ করানো হয়েছে সকলকে তাই তাদেরও পাশ করাতে হবে। একই ভাবে শিলিগুড়ি অদূরে ফুলবাড়ি এলাকাতে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে ভোগান্তি স্বীকার আমসাধারণ ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে। উত্তরের জেলায় জেলায় ছবিটা একই রকম। পড়ুয়াদের রাষ্ট্রীয় আইনকে অবমাননা করে মুখ্য সড়ক অবরোধের মতো অপরাধ মূলক কাজ ভাবাচ্ছে সমাজকে!
আরও পড়ুন – মৃন্ময়ী মাতার আগমন বার্তা বরানগর ন’পাড়ায় খুঁটি পুজো
হাসমিচক অবরোধের ঘটনার শিলিগুড়ির শিক্ষক মহলের উদ্বেগে বাড়িয়ে তুলছে। এইসব পড়ুয়াদের ভবিষ্যত ও সমাজে তাদের কি প্রভাব পড়বে তা নিয়ে চিন্তিতবোধ করছেন শিক্ষক মহল। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার তৃনমূল শিক্ষক সেলের সুপ্রকাশ রায় জানাচ্ছেন পড়ুয়াদের এই বেপরোয়া কার্যকলাপের পেছনে রাজনৈতিক মদত রয়েছে। রাজনৈতিক কোনো ইন্ধন ছাড়া পড়ুয়াদের এ ধরনের বেপরোয়া কাজে সাহস জুগিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। তিনি বিজেপির দিকেই ইঙ্গিত করে বলেন রাজনৈতিক একটি দলের যেকোকো বিষয়ে সুড়সুড়ানী জুগিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করাই কাজ। তবে অভিভাবকদের এই অসচেতনতা ভাবাচ্ছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও বিষয়টি ভালো চোখে নেয়নি।