ফের রহস্যজনক ভাবে গত সাতদিন ধরে নিখোঁজ সিভিক ভলেন্টিয়ার। সম্প্রতি বৈষ্ণবনগর থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আরও এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। নিখোঁজ হওয়ার পর ৭ দিন কেটে গেলেও, এখনও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার গত ৭ দিন ধরে নিখোঁজ। এদিকে, ৭ দিন পরেও তাঁর কোনও খোঁজ না মেলায় দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছে তাঁর পরিবার। এদিকে, পুলিশের তল্লাশি জারি রয়েছে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার নিখোঁজ সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম মশিউর রহমান, বয়স ৩৬ বছর।
বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। উল্লেখ্য, বৈষ্ণবনগর থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার নিখোঁজ হওয়ার পর, পাটক্ষেত থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার নিখোঁজ সিভিক ভলেন্টিয়ার মশিউর রহমান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে, মশিউর রহমান নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখান থেকেই তিনি মালদহ যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন, তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ মিলছে না মশিউরের। এদিকে, মশিউরের পরিবারের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, মশিউরকে অপহরণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় এ বিষয়ে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। স্থানীয় এবং মশিউরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মশিউর দীর্ঘদিন ধরেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানা সিভিক ভলান্টিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। গত সপ্তাহের প্রথম দিকে পুকুরিয়া থানার মাগুড়া এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যায় মশিউর একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে। এরপর সেখানে তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানান, তাঁর এক বন্ধুর মাথা ফেটে গেছে এবং সে মালদহ থানায় ভরতি আছে, তাঁকে দেখতে মালদহ যাচ্ছেন। সন্ধের দিকে ফিরে আসবেন। এমনকি তিনি মালদহ পৌঁছে ফোন করে জানিয়েও ছিলেন, রাত্রে বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু এরপর থেকে তাঁর ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তাঁর ফোনও বন্ধ ছিল। এরপর থেকেই নিখোঁজ মশিউর। ৭ দিন কেটে গেলেও মেলেনি খোঁজ। এদিকে, তাঁর খোঁজ না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। রহস্যজনক