ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক সংযোগের পরিকল্পনার পথে প্রথম পর্যায়ে অব্যবহৃত তার সরানোর কাজ শুরু। বৈদ্যুতিক তার যাবে মাটির নিচে। চোখ তুললেই মাথার ওপর খোলা আকাশ দেখবে শহরবাসী। এড়ানো যাবে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।সুপরিকল্পিত বিজ্ঞানসম্মত স্বপ্নের কল্লোললিনী গড়ার পথেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শিলিগুড়ি পুরোনিগম। উত্তরবঙ্গের মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজার শহর হিসেবে প্রসিদ্ধ কোচবিহারে। তবে দীর্ঘ বাম জমানায় অপরিকল্পনার জেরে পিছিয়ে ছিল এতদিন শিলিগুড়ি শহর।
তবে এবারে দ্রুততার সঙ্গে পরিকল্পনা রূপায়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করছে শিলিগুড়ি পুরো নিগম। শিলিগুড়ি শহর জুড়ে মাথার ওপর আকাশ ঢেকে রেখেছে অপরিকল্পিত বৈদ্যুতিক তার, টিভি কেবল ও টেলিফোন তারের কুন্ডলী। মাকড়সার জালিকার মতো এই বিদ্যুৎ টিভি টেলিফোনের তার শহকরকে হতশ্রী চেহারার দিকে তো ঠেলে দিয়েছে তারসঙ্গে হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর বিপদজ্জনক। সম্প্রতি শহরে কুণ্ডলী কৃত তারের জালিকা থেকে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সত্য একটি তারের কুণ্ডলী অগ্নিকাণ্ডে একটি ওষুধের দোকান আগুনে চলে আসে। এরপরই আর ঢিল পরোখ না করে দ্রুততার সঙ্গে পুরো নিগমের তরফে শহরের বিদ্যুৎ বন্টন দপ্তর, টিভি কেবলিং সংস্থা এবং টেলিফোন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
ইতিমধ্যেই পুরনিগমের সঙ্গে বিদ্যুৎ দপ্তরের অলোচনায় তারা জানিয়েছে ক্রমবর্ধমান শিলিগুড়ি শহরে ঝুলন্ত তার খুঁটি সরিয়ে মাটির নিচে দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ তথা সম্পূর্ণ ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সংযোগ
পরিকল্পনা দিকে অগ্রসর হচ্ছে তারা। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে সব থেকে বড় বাধা কেবল তারের জালিকাকার কুন্ডলী। কেবল সংযোগের অব্যবহৃত ত্রুটিপূর্ণ তার দিনের পর দিন ঝুলছে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বলে কুণ্ডলী পড়ে রয়েছে অব্যবহৃত কেবল সংস্থার তার। শিলিগুড়ি পুরো নিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন বিদ্যুৎ দপ্তর এর সঙ্গে বৈঠকের পরই কেবল সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় করা হয়।
বর্তমানে শিলিগুড়ি শহরে কত কেবল সংযোগ রয়েছে এলাকা ধরে বিস্তারিত তথ্য পুর নিগমকে পেশ করার কথা বলা হয়েছে কেবল সংস্থাগুলিকে। শহরে কুন্ডলি আকারে জট পাকিয়ে থাকা অব্যবহৃত কেবল তার দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে সাফ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন পুরো নিগমের বৈদ্যুতিক বিভাগ সার্ভে করে দেখেছে বহু অবহিত তার রয়েছে কারণ সেগুলো একবার ত্রুটি দেখা দিলে তা সারাই করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
তবে সংস্থার তরফ এমন গুচ্ছের তার শহরের যত্রতত্র বৈদ্যুতিক পোল, খুঁটিতে ঝুলছে। কখনো ঝড় বৃষ্টিতে সে তার ছিঁড়ে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ডেপুটি মেয়র জানান টেলিফোন সংস্থা বিএসএনএল কে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অব্যবহৃত তারগুলি সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান তৃণমূলের ইস্তেহারে ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক সরবরাহের উল্লেখ করা হয়। সেমত কল্লোলিনী কি সাজিয়ে তোলার স্বপ্নের পথেই এগোচ্ছে বোর্ড। আগামীতে সম্পূর্ণ মাটির নিচে দিয়ে ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক সরবরাহ সংযোগের পরিকল্পনার নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে পরিকল্পনা ও প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে।