ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ,সাঁকরাইল, বেলিয়াবেড়া, ঝাড়গ্রাম ,জামবনি, বিনপুর ,লালগড় থানা এলাকায় হাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। বেশকিছু হাতি দলছুট হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেছে। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহর থেকে মাত্র 5 কিলোমিটার দূরে কলাবনি এলাকায় হাতির দল ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। যার ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে । যেকোনো সময় রাজ্য সড়কের উপর উঠে পড়তে পারে হাতিগুলি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ।
অপরদিকে ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া এলাকায় দলছুট হাতি ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেছে। সেইসঙ্গে ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী জামবনি ব্লক এর বিভিন্ন এলাকায় হাতির দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে এসে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। জামবনি ব্লক এর বিভিন্ন এলাকায় যেমন হাতির দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তেমনি নয়াগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় বেশ কয়েকটি হাতি লোকালয়ে ঢুকে শুক্রবার নতুন করে তাণ্ডব শুরু করেছে। সাঁকরাইল ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় দিনের বেলা খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়ছে হাতি ।একই অবস্থা লালগড় ও বিনপুর থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে হাতির দল তাণ্ডব শুরু করেছে।
আরও পড়ুন – নতুন রূপে সেজে উঠবে বকখালি. আগামী দিনে বকখালি পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা
যার ফলে জঙ্গল ঘেরা গ্রামের বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে । বন দফতরের পক্ষ থেকে মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে জনগণকে সতর্ক থাকার জন্য। সেই সঙ্গে বাড়িতে মদ রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। মদ খেতে নিষেধ করা হয়েছে এছাড়াও সন্ধ্যার পর জঙ্গল এলাকার রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে । হাতি কে উত্তপ্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে। হাতির যাত্রা পথে বাধা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও একশ্রেণীর মানুষ হাতি কে উত্তপ্ত করা শুরু করেছে ।যার ফলে দলছুট হাতি গুলি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তাণ্ডব শুরু করেছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে সর্বস্তরের মানুষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হাতি গুলির গতিবিধির উপর বন দফতরের কর্মীরা নজরদারি শুরু করেছে।