সাঁত্রাগাছি ঝিলের বর্তমান অবস্থা দেখে তিনি মর্মাহত। মনে হচ্ছে ঝিল অনাথ হয়ে গেছে। পরিদর্শনে এসে প্রতিক্রিয়া দিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। হাওড়ায় সাঁত্রাগাছি ঝিলের বর্তমান অবস্থা দেখে তিনি মর্মাহত। মনে হচ্ছে ঝিল অনাথ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ঝিল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই প্রতিক্রিয়া দেন বিশিষ্ট পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সাঁতরাগাছি ঝিল নিয়ে মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে আর কয়েকদিন পরেই। তার আগে ঝিলের বর্তমান প্রকৃত অবস্থা জানতে বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঝিল পরিদর্শনে যান পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।
সেখানেই তিনি ওই মন্তব্য করেন। প্রতি বছর শীতকালে সাঁতরাগাছি স্টেশন লাগোয়া সাঁতরাগাছি ঝিলে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি আসে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই ঝিলের বর্তমান অবস্থা ভালো নয় বলে অভিযোগ। চারদিকে কচুরিপানায় ছেয়ে গেছে। জলও দূষিত। ৬ বছর আগে ঝিলের স্বাস্থ্য নিয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে আর দিনকয়েক পরেই। এদিন ঝিলের অবস্থা সরোজমিনে দেখতে যান তিনি। সংগ্রহ করেন ঝিলের জলের নমুনা। তিনি বলেন, সাঁত্রাগাছি ঝিলের বর্তমান অবস্থা দেখে আমি মর্মাহত। মনে হচ্ছে ঝিল অনাথ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন – দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে বাকি, শমীক
রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। অথচ একমাত্র এখানেই পরিযায়ী পাখি আসে। সাঁতরাগাছি ঝিল এখন কচুরিপানায় পুরো ভরাট হয়ে গিয়েছে। এই ঝিলের অবস্থা অনাথ। বিষয়টি নিয়ে আদালতে জানাব। ঝিল পরিষ্কার না করা হলে জরিমানা যাতে করা হয় সেই আবেদন করবেন আদালতের কাছে। ঝিল থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করেছি। এটা রাজ্য দূষণ পর্ষদের কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। আগে পুরনিগমের উদ্যোগে ঝিল পরিষ্কার করা হয়েছিল। এখন আর হচ্ছেনা। যে কোনও কারণেই হোক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঝিলের জল দূষিত হলে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যাদের তাদের থেকে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা করা হোক তিনি এমন দাবিও করেন। গোটা বিষয়টি তিনি আদালতের নজরদারিতে আনবেন বলেও জানান।