একশো দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

একশো দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

একশো দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। শ্রমজীবীদের বছরে অন্তত পক্ষে 100 দিনের শ্রমকে সুনিশ্চিত করতে দেশজুড়ে 100 দিনের কাজের প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু দেখা গেছে এই ১০০দিনের কাজ নিয়ে পঞ্চায়েতের বা পার্টি সংগঠনের নেতাদের পকেট এ ঢুকেছে মোটা টাকার অংক।
একশো দিনের প্রকল্প গুলির টাকা নিয়ে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আর এই রকমই একটি দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে করতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

 

সরকারি নথি অনুযায়ী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার, বালুরঘাট সীমান্ত লাগোয়া চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ টি সংসদে ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য ৪০ টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং 2021 22 আর্থিক বছরে এই সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ড্রাগন ফল চাষ প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে 2 লাখ 87 হাজার টাকার কিছু বেশি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

 

এমনটাই দাবি চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের।সরকারি ওয়েব সাইটে প্রকল্পের কাজ চালু রয়েছে দেখাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত গ্রাম সংসদ ঘুরেও কোন জায়গাতে একটা ড্রাগন ফলের গাছও আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। অথচ প্রায় প্রতিটা জমিতেই একটা করে ফলক লাগানো হয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে প্রকল্পের ব্যয় কত কিন্তু কবে থেকে প্রকল্প শুরু হচ্ছে কবে শেষ হবে তার কোনো উল্লেখ নেই।

 

এমনকি স্বনির্ভর দলের মহিলাদের দাবি পঞ্চায়েতে তরফ থেকে তাদের এই বিষয়ে কোন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। ড্রাগন ফল চাষ কি? তা তারা জানেন না। প্রকল্পের লক্ষ্যটা কি তার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই কিন্তু সরকারি প্রকল্প যে হবে কিছু একটা এটা তারা শুনেছেন। চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বক্তব্য, প্রকল্প চালু রয়েছে কিছু টাকা উপভোক্তাদের একাউন্টে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই।

 

প্রশ্ন এখানেই, যারা এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়েছেন তাদের কারো কারো একাউন্টে 213 টাকা করে দেওয়া হয়েছে এছাড়া এই প্রকল্প সম্বন্ধে তাদের কাছে কোন সঠিক তথ্য নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এইরকম ভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের বোর্ড লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েতের কর্মীরা। অবশ্য প্রধানের বক্তব্য একমাত্র তার পঞ্চায়েতেই যেখানে যা পোস্টার লাগানো হয় সেই অনুযায়ী কাজ হয় অর্থাৎ অন্যান্য পঞ্চায়েতে পোস্টার লাগানো হলেও কাজ যে হয় না তা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top