টিটি না বলছেন স্বয়ং ভারতী। শিলিগুড়ি কেন বিখ্যাত প্রশ্নের জবাবে টি(চা), টুরিসম, টিম্বার জাতীয় উত্তর থাকলেও প্রথম সারিতে অনেকের উত্তর থাকবে ডাবল টি অর্থাৎ টেবিল টেনিস। মান্তু,সৌম্যজিৎ, অংকিতা সহ আরও অনেকে এমন উত্তরের গর্বিত কারণ। কিন্তু ধীরে ধীরে এই খেলার শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে আসছে, প্রতিভা বা আগ্রহীর সংখ্যা কম নয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানদের দূরে সরিয়ে রাখছে, হতাশ খেলোয়াড় তৈরির কারিগরের কথায় এই ব্যয় সাপেক্ষ খেলার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ নাকি তিনি নিজেই দিচ্ছেন।
মান্তু ঘোষ, বালিকা থেকে মহিলা রাজ্য, জাতীয় এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরে সর্বাধিক পুরুস্কার প্রাপ্ত টিটি খেলোয়াড় যার হাতে গড়া সেই ভারতী ঘোষকে শিলিগুড়ির টেবিল টেনিস খেলোয়াড় তৈরির কারিগর বলে ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে এবং তা যথাপোযুক্ত যা নিয়ে দ্বিমত নেই শহরে। একান্ত এক সাক্ষাৎকারে সেই ভারতী হতাশা চাপতে না পেরে বলেন, অনেক অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এই খেলা শেখাবার উদ্দেশে তার কাছে আসেন কিন্তু ক্রীড়া সরঞ্জামের বাড়ন্ত মূল্যের কারণে তিনি তাদের না বলে দেন। তার কথায় এমন অনেকে প্রতিভাবান মাঝপথে খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় যা বেদনাদায়ক, শুধু সামগ্রী কেনার ক্ষমতা না থাকায় প্রতিভা হারিয়ে যায় তা তিনি আর সহ্য করতে পারেন না।
শহরের এক সমাজসেবী অনিমেষ বসু মনে করেন এটার জন্য শহরবাসীকেই দায়িত্ব নিতে হবে, খেলা তাও আবার টিটি হারিয়ে যেতে পারে না। সেছেচাসেবী সংগঠনদের নিয়ে আলোচনা করে রাস্তা বের করা জরুরি।
লিগাল এইড ফোরামের জেলা আধিকারিক অমিত সরকার জানান দ্রব্যমূল্য বেড়েছে তা বাস্তব, পাচারচক্রের থেকে উদ্ধার হওয়া ইচ্ছুক কয়েকজনকে তারা বিনা খরচে শেখানোর ব্যবস্থা করে থাকেন। হাল না ছেড়ে উপায় বের করার ভাবনা রাখা উচিত মন্তব্য তার।
দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, মূল্যবৃদ্ধির কোপ যে এভাবে খেলার জগতে পড়েছে তা জানা ছিলনা তার। নির্বাচনের কারণে ব্যাস্ত রয়েছেন ভোট পর্ব মিটলেই তিনি ভারতী ঘোষের সাথে বৈঠক করে উপায় বের করার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে এনজিওগুলিকে যুক্ত করে কিছু করা যায় কিনা তাও দেখবেন।