রাজপুর-সোনারপুর, বারুইপুর, জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার বর্ষাকালীন সমস্যা সহ নানা বিষয়ে জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। এর মধ্যে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার এলাকায় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে জঞ্জাল পড়ে থাকা, এডিশ মশার লার্ভা বৃদ্ধি নিয়ে ব্যপক অসন্তোষ প্রকাশ করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা।
জ্বরকে হালকা না নিয়ে প্রতি পুরসভায় ফিভার ক্লিনিক খোলার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। করোনার ভ্যাকসিন সবাই যাতে পায় তার ব্যবস্থা করতে বলা হয় পুরসভাগুলিকে। শনিবার বারুইপুরের জেলা পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত, পুর নগরোন্নয়ন দপ্তরের স্পেশাল কমিশনার সুজাতা ঘোষ। ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্য কর্তারা, সেচ দপ্তর, কে এম ডি এ, সুডার প্রতিনিধিরা। এছাড়া পুরসভাগুলির চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ এক্সিকিউটিভ অফিসাররা ছিলেন।
আরও পড়ুন – গুলিতে খুন যুবক, তীব্র উত্তেজনা ভাটপাড়ার বাকরমহল্লায়
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকায় ১১ জন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া আক্রান্ত বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আধিকারিকরা। পুরসভার ২১,২২, ২৩, ২৭, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য কর্তারা। সুডাকে এই পুরসভার জন্য বেশি সময় দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৪ জুলাই থেকে ২ নভেম্বর প্রতি পুরসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভিজিট করতে হবে স্বাস্থ্য কর্মীদের। বারুইপুর পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের একবছর আগে শুরু হলেও কাজের অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ করেন ভাইস চেয়ারম্যান। এজেন্সি পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ ভাইস চেয়ারম্যানের।
বারুইপুর পুরসভায় বি এস কে তে একজন কর্মী থাকা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। পুরসভা গুলির মা ক্যান্টীনের ১০ টাকার থেকে বাড়ানোর জন্য আর্জি জানানো হয়। বারুইপুর ও জয়নগর-মজিলপুর, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় খাল সংস্কার, জল জমার সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। সেচদপ্তর ও পুরসভাকে যৌথ ভিজিট করতে বলা হয়। পাশাপাশি, জয়নগর-মজিলপুর পুরসভায় বিপদজনক বাড়ি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করা হয়।