ভেঙে গিয়েছে সেতু,চরম দুর্ভোগ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের। সমস্যা যাতায়াতকারী মানুষেরও। জীবনের ঝুকি নিয়ে নদী পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছে বিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদের। পিছিয়ে দেওয়া হলো পরীক্ষা। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস জেলা পরিষদের। জলপাইগুড়ি শহরের পশ্চিম দিকে অবস্থিত এক বিশাল জনপদ গড়ালবাড়ি সদর ব্লকের অন্তর্গত হলেও অনেকটাই দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে এখানেই রয়েছে জেলার স্কুল গুলোর মধ্যে অন্যতম গোড়াল বাড়ি হাই স্কুল, ডগাই চাঁদ নদী পেরিয়ে পৌঁছতে হয় স্কুলে।
তবে নদীর ওপরে থাকা কালভার্ট আগেই ভেঙে গিয়ে ছিলো, এর পর গত দেড় মাস ধরে প্রায় সুম্মুক গতিতে চলছে নতুন সেতু তৈরির কাজ, এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।তবে বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় গত কয়েক দিন থেকে চলা অতি বৃষ্টিতে, জলের তোড়ে ভেসে যায় হিউম পাইপ, আর এতেই চরম দুর্ভোগে পরেছে গোড়াল বাড়ি সহ আশপাশের গ্রাম গুলোর প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ, এমনটাই জানালেন স্থানিয় বাসিন্দা এরশাদ আলি।যদিও এমন ভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করার ঘটনা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত গোড়াল বাড়ি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিঠুন মুখার্জি, তিনি জানান সেতু ভেঙে গিয়েছে, নেই কোনো ডাইভারসন কিছু ছাত্র ছাত্রী চরম ঝুকি নিয়ে স্কুলে আসছে, এই পরিস্থিতে আমরা পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর নির্ধারিত পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন – বাড়িতে বসে নিষিদ্ধ কাফ সিরারের ব্যবসা, ধৃত মহিলা
সেতু নিয়ে যে চরম দুর্ভোগে পরতে হয়েছে তা প্রকাশেই জানালেন অভিভাবক আনোয়ারা বেগম, তিনি বলেন খুব বিপদ হাতে নিয়ে নদী পার করে স্কুলে যেতে হচ্ছে বাচ্চাদের খুব চিন্তা হয়। শুধু যে অভিভাব দের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ডগাই চাঁদ নদীর ওপর ভেঙে যাওয়া সেতু টি, তাই নয়, জীবনের ঝুকি নিয়ে স্কুলে আসা এক ছাত্রের চোখে মুখে ফুটে উঠছে নিত্য দিনের এই বিপদের ছায়া। এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ জানান, আমাদের কাছে খবর এসেছে দ্রুত ওই এলাকায় লোক পাঠানো হচ্ছে প্রয়োজনে নিজেরাও দেখতে যাব।