অভিষেকের সভাস্থল ঘিরে বিতর্ক ধুপগুড়িতে। শাসক হওয়ার ফয়দা তুলে রাজনৈতিক সভা হতে চলেছে খেলার মাঠে, অথচ বারংবার আবেদন জানিয়ে মাঠের ক্ষতি রোখার অজুহাতকে সামনে এনে এই মাঠটিতে অন্য রাজনৈতিক দলকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় নি বলে অভিযোগ, বিতর্ক চরমে।
আগামী ১২ই জুলাই ধূপগুড়িতে জনসভা করতে আসবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা হতে চলেছে ধূপগুড়ি ফুটবল ময়দানে। যে ফুটবল ময়দানের খেলার মাঠকে কোনদিন খেলা বাদে অন্য কোন কর্মসূচিতে ব্যবহার করা যাবে না বলে রেজুলেশন করা রয়েছে পৌরসভার খাতায়। সেই ফুটবল ময়দানের মাঠকেই এবার জনসভার জন্য ব্যবহার করবে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কিভাবে মিলল খেলার মাঠ ব্যবহারের অনুমতি? শাষক হওয়ার কারণে অন্যায় সুবিধা নিচ্ছে তৃণমূল সমালোচনার ঝড় বইছে শহরজুড়েই। যদিও এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে অনেকেই মুখ খুলতে নারাজ।
জেমাঠে সোমবার সকালেও ফুটবল অনুশীলন করেছেন খেলোয়াড়রা সেই মাঠে সভার জন্য প্যান্ডেলের কাজ শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। সামনেই টুর্নামেন্ট রয়েছে অনুশীলন করতে না পারলে তার প্রভাব পরবে খেলায় হতাশ ক্রীড়ামহল।
ধূপগুড়ি ফুটবল ক্লাবের সভাপতি সুব্রত ধর বলেন, আমরা আজ সকালে মাঠে গিয়ে বিষয় টি দেখতে পান তিনি এই সভা এই মাঠে হতে না দেওয়ার হুমকি দেন। তার যুক্তি বৃস্টিতে মাঠের মাটি নরম। এই পরিস্থিতিতে মাঠে সভা করলে মানুষের আনাগোনা হবে তাতে মাঠ নষ্ট হয়ে যাবে। এই মাঠে বাঁশ গেরে সভামঞ্চ করা হচ্ছে। যেটাকে ধূপগুড়ি ফুটবল ক্লাব কখনোই সাপোর্ট করে না। ধূপগুড়ি পৌরসভায় লিখিত আকারে ডেপুটেশন দিয়েছে ক্লাবটি।
আরও পড়ুন – খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে 2022 এর দুর্গাপূজার শুভ সূচনা করলেন দেশপ্রিয় পার্ক
ধূপগুড়ি বিজেপির টাউন ব্লক সভাপতি শিবু চক্রব্রতী বলেন, ধূপগুড়ির ঐতিহ্যবাহি এই মাঠ। সেই মাঠে বিভিন্ন খেলাধুলা হয়। প্রচুর টুর্নামেন্ট হয়। স্বাভাবিক ভাবে কোনো রাজনৈতি দলকে এই মাঠে কোনো অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না। আর যদি এটাই হয় তবে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের ধূপগুড়িতে সভা করে গেছেন ভারতের সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সা। তখন আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে এই ধূপগুড়ি পৌর ফুটবল ময়দান টিকে বেছে নিলেও পৌরসভার থেকে পারমিশন দেয় নি পৌর কর্তৃপক্ষ। তখন বলা হয়েছিল এই মাঠ খেলোয়াড়দের খেলার জন্য এই মাঠে কোন রকম রাজনৈতিক জনসভা করা যাবে না। আজ কেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই মাঠে রাজনৈতিক জনসভা করা হচ্ছে ? আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং মঙ্গলবার থেকে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হব।
ধূপগুরির ডি ওয়াই এফ আই লোকাল কমিটির সম্পাদক নির্মললো ভট্টাচার্য বলেন, সিপিএমের ১০ বছরের শাসনকালে এই পৌর ফুটবল মাঠে কোন রাজনৈতিক সভা করতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল ক্ষমতায় এসে ধূপগুড়ির সামগ্রিক চিত্র বদলে দিচ্ছে। এই মাঠে যেন কোনো রাজনৈতিক জনসভা না হয় তার জন্য আমরা ভাইস চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করা হবে জানান তিনি।
এই বিষয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং জানান, ‘এটা প্রথম নয়। এর আগেও ধূপগুড়ি উৎসব অনুষ্ঠানও হয়েছিল, মাঠ কিভাবে বাঁচাতে হয় তা তারা জানেন ওখানে একটি শিট রাখা হয়েছে। সেই শিটের উপর সভা করা হবে। কোনও সমস্যা হবে না।’