অর্ধসমাপ্ত সেতুতে বাসের সাঁকো জোড়া লাগিয়ে চলছে যাতায়াত, ঝুঁকিতে গ্রামবাসীরা । বন্ধ সেতুর কাজ, অর্ধসমাপ্ত সেতুতেই বাসের সাঁকো জোড়া লাগিয়ে চলছে যাতায়াত। সাধারণ মানুষ, স্থানীয় মানুষজন, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরাও ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে ওই সেতুর উপর দিয়েই করছে যাতায়াত। জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় বছর আগে শুরু হয়েছিল জাবরামালী গ্রামের কাঠালতোলা থেকে হুসলু ডাঙ্গা সংলগ্ন কাঠালতোলা সেতুর কাজ। ময়নাগুড়ি ব্লকের জাবরামালী গ্রামের কাঠালতোলা থেকে হুসলু ডাঙ্গা যাতায়াতের রাস্তার যোগাযোগ স্থাপন করে এই সেতু। বহু বছর ধরেই নদীর উপর থাকা বাসের সেতু দিয়েই পারাপার করছিল এলাকাবাসী সহ অন্যান্য মানুষজন , পাশে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরাও।
এর পরেই শুরু হয় কংক্রিটের তৈরি কাঠালতোলা সেতুর কাজ। কাজ শুরু হওয়াতে খুশি এলাকাবাসী। তবে কিছুদিন কাজ হওয়ার পর ই বন্ধ হয়ে যায় ব্রিজের কাজ। এই অর্ধ সমাপ্ত সেতুর উপর দিয়েই যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। শেষে বর্ষা শুরু হওয়াতে নিজ সুবিধার্থে নিজ উদ্যোগে বাস দিয়ে সাঁকো বানিয়ে উচু ব্রিজের দু দিকে জোড়া লাগিয়ে সেই ব্রিজের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সাইকেল, বাইক সহকারে যাতায়াত করছে মানুষ জন। যেখানে পদে পদে বিপদ সেখানেও একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই চলছে এমনটা।
স্থানীয়রা চান খুব তাড়াতাড়ি ব্রিজের কাজ সমাপ্ত করে সেটি যাতায়াতের উপযোগী করে তোলা হোক । এবিষয়ে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, ” খুব তাড়াতাড়ি এই ব্রিজের কাজ পুনরায় শুরু হবে, যেটুকু কাজ বাকি রয়েছে সেটা করার জন্য যা অর্থ দরকার সেটার অভাবেই কাজ শুরু করতে পারছি না আমরা। আমরা ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি , ওনারা আশ্বাস দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থাৎ আশা করছি আগামী সপ্তাহেই এই সেতুর কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন – উত্তরের ফিল্মসিটি নিয়ে আশার ইঙ্গিত মিমি চক্রবর্তীর
তবে এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষ নিজ উদ্যোগে দুদিকে যে বাসের সাঁকো জোড়া লাগিয়ে যাতায়াত শুরু করেছে সেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, এভাবে যাতায়াত না করাটাই ভালো , হঠাৎ করেই যখন তখন বিপদ ঘটে যেতেই পারে।” এবিষয়ে সাপটি বাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আনিতা রায় জানান, ” আমরা উপর মহলে যোগাযোগ করেছি। খুব তাড়াতাড়ি অর্ধসমাপ্ত ওই সেতুটির কাজ শুরু হবে আশা রাখছি । ” অন্যদিকে ,গ্রামবাসীদের বক্তব্যকত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পাকা সেতুটির,সমাপ্ত করুক ,নির্মাণ সংস্থা।