ক্যানিং-এর ঘটনা প্রসঙ্গে যা বললেন শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র তথা বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য আজ সল্টলেকে তার নিজস্ব বাসভবনের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি মুখোমুখি হয়ে ক্যানিং য়ের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন দখলদারি রাজনীতি যে জায়গায় এসে পৌঁছবে এটাও মানুষ বোঝেন।ইট ,কাঠ পাথর ও জানে গাছের পাতা পর্যন্ত জানে এই খুনের সাথে কে বা কারা জড়িত যিনি খুনের অভিযোগ করছেন তার অনুগামীদের যোগ আছে।
তৃণমূলের কেউ মারা গেলে বিজেপি বলেন গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে অপমান করা হয়েছে এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন সকালবেলায় ক্যানিং এ মর্মান্তিক এই খুনের ঘটনা থেকে পশ্চিমবঙ্গবাসীর দৃষ্টিকে অন্যদিকে ঘোরাতে সংবাদ মাধ্যমে অন্য বিতর্ক নিয়ে আসতে পরিকল্পিতভাবে তারা রাজ্যপাল ভবনে গিয়েছিলেন গতকাল তো বললেন রাজ্যপাল সাদা হাতি, বিজেপির ঝান্ডা নিয়ে রাজনীতি করার কথা বলা হয়েছে হঠাৎ রাজ্য পালের দ্বারস্থ কেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অদূর ভবিষ্যতে প্রত্যাখ্যান করবে বলে তিনি বলেন।
দিলীপ ঘোষ চ্যালেঞ্জ করেছেন ভবানীপুরে গিয়ে বলবেন পারলে গ্রেফতার করে দেখা এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন দিলীপ ঘোষ যা বলার তিনি বলেছেন যে বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তার প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষ দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ কোন ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে কারুর বিরুদ্ধে কোন কুৎসা করতে গিয়ে কোন আক্রমণ করেননি অস্থির রাজনৈতিক অবস্থা বিভিন্ন সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করা সেই রাজনীতির সমালোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানার কথা বলেছেন।
তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন সারা রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চলেছেCBI-র। স্কুল খোলার দাবিতে মানুষ বনধ ডাকছে প্রাইমারি টিচার্স দের উচ্চমাধ্যমিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কর্পোরেশন_ মিউনিসিপ্যালিটি, স্বাস্থ্য ,পুলিশ সর্বত্র নিয়োগে দুর্নীতি দমকলেও এখন দুর্নীতি সমগ্র অবস্থা থেকে দৃষ্টি ঘরাতে তৃণমূলের এরকম অবস্থান।
আরও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রী কাণ্ডে কে এই হাফিজুল?
বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধ তৈরি করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালনা পরিকল্পনা বহির্ভূত ব্যয়, খেলা ,মেলা অনুদানের রাজনীতি, বিনিয়োগ কমিয়ে দেওয়া এটাই হলো এই রাজ্যকে অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করার প্রথম কারণ কেন্দ্র সরকার অবরোধ তৈরি করছে না অবরোধ তৈরি করছে তৃণমূল সরকার নিজেই। বর্তমান প্রজন্মকে অবরুদ্ধ করে দিয়েছে তৃণমূলের ভ্রান্ত রাজনীতি কেন্দ্র সরকার বলেছে কেন্দ্রের পরিকল্পনার নাম বদল করলে আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ করবে । ১০০ দিনের কাজের হিসাব চাইটাকা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খরচ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে পরীক্ষার প্রকল্প পরিদর্শন করতে এসে তারা কোন স্বচ্ছতা খুঁজে পায়নি সরকার হিসাব দিতে পারেনি তারা বলেছে রাজ্য হিসাব দিচ্ছে না তাই জন্য আমরা টাকা দিচ্ছে না আদালতের দরজা খোলা। আদালতে চলে যান আদালতে গিয়ে প্রমাণ করুন যে কেন্দ্র সরকার অর্থনৈতিকভাবে অবরোধ করছে।
শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ সিবিআই এর তিন চার জায়গায় তল্লাশি প্রসঙ্গে তিনি বলেন প্রথম কথা হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার গত 11 বছরে যতন নিয়োগ করেছে কোন নিয়োগ দুর্নীতির উর্ধ্বে নয়, প্রশ্নচিহ্নের উর্ধ্বে নয় কোথাও কোনো স্বচ্ছতা নেই আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে আদালত সিবিআইকে দ্রুত তদন্ত শেষ করার তার অগ্রগতি কতটা জানাতে বলেছে এখন তদন্ত চলছে পশ্চিমবঙ্গের কার্যত শিক্ষাক্ষেত্রে এক অচল অবস্থা তৈরি হয়ে গেছে সাড়ে তিন লক্ষ শূন্য পথ ১০ বছরে মাত্র দুটো টেট পরিচ্ছন্ন নয় মাদ্রাসা শিক্ষকরা যারা চাকরি পেতে পারেন। তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে থালা বাজাচ্ছেন এটাই বর্তমান চিত্র মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির সামনে উত্তপ্ত হচ্ছে পুলিশ প্রতিনিয়ত লাঠিচার্জ করছে। বিভিন্ন জায়গায় যারা চাকরি পান তালিকা তে যাদের নাম আছে তাদের নেতাকে প্রতারিত করে যারা পরীক্ষায় দেয়নি তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে সেগুলো উঠে আসছে তদন্তের মধ্য দিয়ে।
যখন শুভেন্দু তৃণমূল কংগ্রেসের ছিল এই অভিজ্ঞ গঠেনি তৃণমূল থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতি অপশাসন অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে তখন তার উপর মামলা দায়ের করা হচ্ছে এই প্রতিহিংসার রাজনীতি অসহিষ্ণুতা রাজনৈতিক দল শুভেন্দু অধিকারীর কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানালেন কৃষ্ণ কল্যাণী সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন পার্টির প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন পার্টির সাথে বেইমানি করেছেন জনা দেশকে প্রতারিত করেছেন এখন তাকে ব্যবসায়িক কারণে বা অন্য কোনো কারণে হতে পারে পিএসসি চেয়ারম্যান করে দিয়েছেন উনি কি বললেন সেই কথাটা মানুষ গ্রহণ করবেন আর বিজেপির উনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মতো কোনো প্রয়োজন নেই।