নিউটাউনের ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি দিলীপ

নিউটাউনের ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি দিলীপ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিউটাউনের ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি দিলীপ । বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ শুক্রবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

কুণাল ঘোষ বলেছেন রাজভবনের সামনে নীল ডাউন করিয়ে রাখবেন আপনাকে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন…..
যারা এতদিন নীল ডাউন করে এসেছে পুলিশের সামনে সেই দিনগুলো আমরা ভুলিনি ।সেই সময় কি কি বলেছিলেন আমি সেটাই বলেছি, সেই দম যদি থাকত দিলীপ ঘোষকে জেলে পুরে দিতে পারেনি। কেন পুলিশ মন্ত্রী সম্বন্ধে আমি বলেছি পুলিশ মন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে যে রাজ্যপালের নামে দিনরাত তার কটুক্তি করেন তারা কতটা দুর্বল এতে প্রমাণ হয়ে গেছে।।

জ্যোতি বসুর ১০৯ তম জন্মদিন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন …..
জ্যোতি বসু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অনেকদিন ধরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আমি কমপক্ষে তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই তার পার্টির লোকেরা ফলোয়াররা তার স্মৃতিতে যদি কিছু করেন ভালো কথা।

 

কটু কথার রাজনীতি চলছে অনেকে বলছেন নুপুর শর্মা শুরু করেছে অনেকে বলছেন মৌহুয়া মৈত্র শুরু করেছেন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন……
নুপুর শর্মার কাছে যাচ্ছেন কেন পশ্চিমবাংলায় আমাদের নেতাদের কাছে খোঁজ নিন সিপিএম ,কংগ্রেসের আমল থেকে তৃণমূল সেটাকে জনআন্দোলন করে দিয়েছে। গালাগালি দেওয়াটাকে তাদের পার্টির মধ্যে নেতারা পরস্পরকে কি বলছেন তার জন্য কেষ্ট মন্ডল থেকে আরম্ভ করে এক একজন বিধায়ক, সংসদ কি মন্তব্য করেছেন সেটা তুলে ধরুন ।আমাদের কটু কথার বলার দরকার নেই কেউ যদি আমাকে বলে আমাকে কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে, লোকে ভাবে সত্যি সত্যি লোকটা দুনম্বরী তার জন্য প্রতিবাদ করছি আমি।

 

নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে কলকাতা পুলিশ কিন্তু মৌহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক হিরণকে বসিয়ে রাখা হয়েছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন…..
এখানকার পুলিশ তৃণমূলের পুলিশ সেই জন্য আমাদের কোন এফেয়ার নেয় না। এই পুলিশের ক্ষমতা আপনারা জানেন তৃণমূল তারা তারা নিয়ন্ত্রিত হন সেই জন্য শত শত খুন হচ্ছে, ধর্ষণ হচ্ছে।

 

না চার্জশিট জামা পড়ে না কেউ সাজা পায়। পুলিশ এখন তৃণমূলকে ভোটে জেতাতে আর বিরোধীদের জেলে পুড়তে ব্যস্ত সেই জন্য এখানে ন্যায় আশা করা মুশকিল। যেখানে খুন হলে সিবিআই, মানবাধিকার কমিশন আসে তারা এসে কেস দেয় FIR করে সেখানে আপনি পুলিশের উপর কি ভরসা করবেন পুলিশের কাছে FIR করলেই কি কোনদিন তার কাজ হবে না। আদালত পর্যন্ত পৌঁছাবে না।

 

গুলি বোমা বন্দুকের ওপর পশ্চিমবঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে কালকে ক্যানিং এর ঘটনা প্রত্যেকের কাছে আমস ছিল এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন আমি আগেই বলেছি ওখানকার বিধায়ক নাকি বলেছে বিজেপি দায়ী কিন্তু বিজেপিকে খুনোখুনি রাজনীতি করতে হয় না গুজরাট থেকে গুহায়াটি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত দেখুন বিজেপি জিতে চলেছে। কোথাও বোমবন্ধুক আমরা ব্যবহার করি না। বিজেপিতে জেতার পর বোম বন্দুক বন্ধ হয়। বিহার থেকে উত্তর প্রদেশ আমরা সামলেছি। কাশ্মীরকে শান্ত করেছি। পশ্চিমবাংলা এখন সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে বোম বন্দুক সমস্ত সমাজ বিরোধীরা পার্টিতে ঢুকে গেছে।পার্টিটাকে লিজ দেওয়া হয়ে গেছে তারাই পার্টিটাকে চালাচ্ছে।

 

বিদেশে কাজ করতে নয় এরাজ্যে কাজ করার কথা আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৮ হাজার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন….. বিদেশে কাজ করতে গেছে কেন বলে প্রশ্ন তোলেন এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দেখুন বাংলার ছেলেরা গেছে পড়তে। ছাত্র আমাদের কম ছিল না এখান থেকে বড় বড় ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার বিজ্ঞানীরা বেরিয়েছে আজকে পড়ার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে সরকারি স্কুলে কেউ ভর্তি হয় না কলেজ গুলো গুন্ডামি করার রাজনীতি করার আখড়া হয়ে গেছে।

 

ইনভারসিটিতে এমন লোকেদের কে উপাচার্য বানানো হচ্ছে যাদের কোন ক্ষমতা যোগ্যতা নেই খালি তৃণমূলের তাবেদার সেই জন্য করা হচ্ছে সেই জন্য রাজ্যপাল কে ওখান থেকে হাঁটানো হচ্ছে ।যে কোন লোককে ওখানে বসিয়ে দেওয়া হবে ,এই অবস্থায় বাংলায় এসে কে নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবে। আজ বাংলায় যে ধরনের অত্যাচার চলছে মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। আমি সিকিমের গ্রামে গেছি সেখানে গিয়ে দেখি আমাদের ছেলেরা শ্রমিকের কাজ করছে, রাজমিস্ত্রির কাজ করছে ।কলকাতার আশেপাশের ছেলেরা প্রথমত কাজ নেই দ্বিতীয় অত্যাচার প্রত্যেকটি রাজ্যের চাকরি বাকরি করছে বাংলাতে না কাজকর্ম আছে না পড়ার পরিবেশ আছে।

আদিবাসী রাষ্ট্রপতির প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুর নরম করেছেন। কালকে দ্রৌপদী মুর্মু আসছেন কলকাতায় এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন….

 

দ্রৌপদী মুর্মু ক্যান্ডিডেট প্রথা অনুযায়ী সব রাজ্যে গিয়ে সমস্ত পার্টির থেকে সমর্থন চাইছেন এটা হয়েই থাকে।বিরোধী পার্টির যে আছেন তিনিও যাচ্ছেন। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি যে বড় বড় কথা বলতেন তিনি আদিবাসীদের পক্ষে কিন্তু প্রথমবার ভারতবাসী একজন আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পেতে যাচ্ছে এবং তিনি কোন অংশে কারোর থেকে কম নয় তিনি তার যোগ্যতা বারবার দেখিয়েছেন তপস্যা দেখিয়েছেন। যদি মনের মধ্যে নিষ্ঠা ও সততা থাকে মনের মধ্যে সামান্যতম সততা থাকে যাতে,তাহলে পার্টিকে হুইপ দিন দ্রৌপদী মর্মুকে সমর্থন করে আমার তো ধারণা তার পার্টির অনেক লোক সমর্থন করবেন উনি যদি না করেন সারা ভারতের আদিবাসী সমাজ তাকে উত্তর দেবেন।

 

যশোবন্ত সিনহা প্রচারে আসছেন না। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন….. মমতা ব্যানার্জি দেখিয়ে দিয়েছেন উনি যশোবন্ত সিনহা কে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন কারো সাথে কথা না বলে যাদের সাথে কথা বলেছেন তারা আর কেউ জানতে রাজি হননি নাকি উনি মুরগি বানিয়েছেন তিনি তার পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাকে ওখান থেকে সরিয়ে প্রার্থী বানিয়ে দিয়েছেন। আমাদের এমডিএ প্রার্থীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে গিয়ে তার নমিনেশন পেপার জমা দিচ্ছেন সই করেছেন আমাদের বিভিন্ন আদিবাসী যারা এমপি আছেন তারা সই করেছেন আমাদের সমস্ত এনডিআর এর সঠিক দল সব পার্টির বরিষ্ঠ নেতারা গেছেন আমাদের সভাপতি গেছেন সবাই গেছেন উনি কেন গেলেন না সেই দিনই উনি বুঝে গেছেন কোন চান্স নেই যশবন্ত সিনহার।

আরও পড়ুন – পাট্টা জমির রেকর্ড সহ একাধিক দাবি দাবা নিয়ে চন্দ্রকোনারোডে বিক্ষোভ মিছিল CPI(M)-এর

কল্যাণী Aims-র চাকরি দুর্নীতিতে বিজেপি বিধায়কদের সিআইডির নোটিশ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন….
আমরা স্বচ্ছ রাজনীতি, স্বচ্ছ প্রশাসনে বিশ্বাস করি ।সারা ভারতবর্ষে সেভাবেই চলছে কোন এই ধরনের ঘোটালা হয় না। আজ নয় এর আগেও আমাদের সরকার ছিল যখন কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার ছিল কেউ আঙ্গুল তুলতে পারেনি। যদি কেউ এরকম করে থাকে তাকে আইনের সামনে আসতে হবে যদি না থাকে সামনে রাখতে হবে কিভাবে চাকরি পেয়েছে। আমার কাছেও আবার ক্লার্কের চাকরির জন্য হাজার খানেক তালিকায এসেছে বিভিন্ন দপ্তরে ,লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া হয়েছিল সেই তালিকাও আরেকবার তদন্ত করে দেখা উচিত তার মধ্যেও কোন জল আছে কিনা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top