দুয়ারে প্রেমিকা, বিয়ের দাবিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত বাড়িতে ধরনায় বসলেন প্রেমিকা। এবার দুয়ারে প্রেমিকা। বিয়ের দাবিতে বিবাহিত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা বাড়িতে ধারনাই বসলেন প্রেমিকা। পুলিশ গিয়ে ধরনারত প্রেমিকা সহ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। শনিবার দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিয়া গঞ্জ এলাকায়। শনিবার বেলা একটা নাগাদ। খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রাজীব দাসের বাড়ির সামনে হঠাৎ ধর্ণায় বসেন এক যুবতি। নাম মানসী দাস।
তিনিও ওই এলাকাতেই থাকেন। তাঁর দাবি, রাজীবের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি রাজীবকে বিয়ে করতে চান। এদিকে রাজীব বিবাহিত। বছর দেড়েক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মানসীকে ধর্ণায় বসতে দেখে রাজীবের স্ত্রী ও বউদি বেরিয়ে আসেন। তাঁদের সঙ্গে মানসীর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মানসীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাজীবকেও পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। মানসী কানে কম শোনেন। বারবার প্রশ্ন করার পরই তাঁর উত্তর মিলেছে। তিনি বলেন, “দু’বছর ধরে ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক।
আরও পড়ুন – গরুকে FMD ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
আমাকে মোবাইল ফোনও কিনে দিয়েছে। আমাকে বিয়ে করবে বলেছিল। যেখানে যেত আমার হাত ধরে নিয়ে যেত। কিন্তু ওর বউদি আর বউ আমার সঙ্গে ওর বিয়ে হতে দিচ্ছে না। বিয়ের দাবিতে আজ ওদের বাড়ির সামনে বসেছিলাম। ওর বউ আর বউদি আমাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল। পরে পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে এসেছে। আমি ওকে বিয়ে করতে চাই।” থানায় আটক থাকায় এনিয়ে রাজীব দাসের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মানসীকে আপাতত থানাতেই রাখা হয়েছে। চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, এনিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ হলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। দুয়ারে প্রেমিকা