বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে ঈদ উল আযহা বা ঈদ উল আজহা!

বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে ঈদ উল আযহা বা ঈদ উল আজহা!

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে ঈদ উল আযহা বা ঈদ উল আজহা! বিশ্ব জুড়ে আজ রবিবার পালিত হচ্ছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি। আরবি ক্যালেন্ডারের ১২ তম ও শেষ মাস জিলহজ দশম তম দিনে পালিত হয় ঈদুল আযহা ও বকরি ঈদ। মুসলিম সম্প্রদায়ের দুটি সর্ববৃহৎ জাতীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। ইসলাম মতে, সর্বশ্রেষ্ঠ ত্যাগের প্রতীক এই কোরবানির উৎসব।

 

এ দিনটি সারাবিশ্ব জুড়ে খুবই জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। সবাই এ দিন নতুন পোশাক পরে সাধ্য মতো খাওয়ারের আয়োজন করেন। উৎসবের আরেক নাম কোরবানির ঈদ বা বকরি ঈদ। এই ঈদের নাম বকরি ঈদ হওয়ার জন্য দুটি কারণ আছে। এই ঈদকে কোরবানির ঈদ বলে এই উৎসবে কিছু না কিছু আল্লা-কে উৎসর্গ করে কোরবান করতে হয়।এই উৎসবে কোনও ভেদাভেদ থাকে না।

 

দরিদ্র ও গরিবদের ঈদের আনন্দে সামিল করা জরুরি বলে মনে করা হয় ইসলামে। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতরাও এই আনন্দের অংশীদার হয়। মুসলমানেরা এ দিন ঈদের দুই রাকাত নামাজ পড়েন। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এই দিনে দুঃস্থদের সাধ্যমত দান এবং অনুদান বিতরণ করা ধর্মীয় দিক থেকে বাধ্যতামূলক। তাই এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে একটি জাতীয় উৎসব। এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে যান। এই কোরবানির পিছনে একটা সুন্দর কাহিনি রয়েছে। ইসলামের নবী হযরত ইব্রাহীমের কোন সন্তান ছিল না।

আরও পড়ুন – হাকিমপুর সীমান্ত থেকে দুই দালালসহ দশ বাংলাদেশি আটক

তিনি সর্বদা আল্লাহ তায়ালার কাছে সন্তানের জন্য প্রার্থনা করতেন। এর পর তার পুত্র সন্তান হয়। তার নাম রাখেন ইসমাইল। নবী হযরত ইসমাইলকে খুব ভালবাসতেন। কখনো ছেলেকে চোখের আড়াল করতেন না। এইভাবে কয়েক বছর কেটে যায় একদিন ইব্রাহীম স্বপ্ন দেখেন আল্লা তাঁর কাছে তার সব থেকে প্রিয় জিনিসটা চাইছেন। ইব্রাহীমের কাছে তার প্রিয় বলতে তাঁর ছেলে, তিনি আল্লা উপর ভরসা করতেন তাই ছেলেকে উত্‍সর্গ করতে রাজি হয়ে যায়।

 

ছেলেকে উত্‍সর্গ করার সময় হযরত ইব্রাহিম নিজের চোখে পট্টি বেঁধে নেন যাতে ছেলের প্রতি কোন মায়ায় না থাকে।উত্‍সর্গ করার পরে ইব্রাহিম চোখ খুলে দেখেন তার ছেলে ইসমাইল পাশেই রয়েছে। এর পর তিনি দেখেন পাশে একটি দুম্বা উৎসর্গ করা হয়েছে। এটা ছিল আল্লা রাব্বুল আলামিনের চমৎকার। এর মধ্যে দিয়ে ইব্রাহিমের ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন। এরপর থেকেই মুসলিম ধর্মে কোরবানি ঈদ বা বখরি ঈদ পালন করা হয়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top