পাহাড়ের ইতিহাস তুলে ধরে আক্ষেপ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। আগে গত দশ বছরে ৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু সঠিকভাবে কাজ হয়নি৷ আমি আগের কথা মনে করাতে চাইনা। কিন্তু আমি চাই আপনারা প্রতিজ্ঞা করুন কোন ধান্দাবাজ নেতাদের পাহাড়ে অশান্তি করতে দেবেন না।” অনিত থাপা বলেন, “এতদিন পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক এবং সেন্টিমেন্টাল রাজনীতি হতো। কিন্তু আমরা উন্নয়নের রাজনীতি চাই। আমরা প্রত্যেকের সঙ্গে নিয়ে এগোতে চাই। পাহাড়ে অনেক সমস্যা রয়েছে সেই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে।”
মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় জিটিএ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জিটিএ এর নতুন চেয়ারম্যান অনিত থাপা, রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি দেবেন্দ্র প্রতাপ সিং, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মুখ্যসচিব সহ অন্যান্যরা। এদিন ৩০ জন জিটিএ সভাসদদের শপথ বাক্য পাঠ করান জলপাইগুড়ি ডিভিশনাল কমিশনার অজিত রঞ্জন বর্ধন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এর আগে অনেক গরবড় হয়েছে। পাহাড়ে অনেক ভূমিকম্প হয়। এখন ভূমিকম্প হলে কী হবে জানি না। কাজ করা কোন সিস্টেম ছিল না৷ এবার সিস্টেম ফলো করতে হবে। আর ঠিকমতো আমি পূর্ণ সহযোগিতা করব। আগে অনেক প্রকল্প নিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ করতে দেয়নি। আমি বন্ধুত্ব চাই। ঝগড়া চাই না। আমি পাহাড়ে কিছু নিতে আসবো না। দিতেই আসবো।”
এদিনের ভাষণে বিভিন্ন সময় পাহাড়ের ইতিহাস তুলে ধরে আক্ষেপ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগেও মন ঘিসিং, বিমল গুরুংদের নিয়ে জিটিএ’র মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি কায়েম করার চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেসময় বিমল গুরুং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরে। পাহাড়ে অশান্তি হয়। ফের সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেটাই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রী সবরকম সহযোগিতা করবেন তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “রাজনীতি ভুলে প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়ে এবার পাহাড়ের জন্য উন্নয়ন করতে হবে। জয়ী প্রতিনিধিরা যেই দলেরই হোক না কেন তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।”