বেআইনি ভাবে স্কুল চত্ত্বরের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে থাকা বেশ কয়েকটি গ্রাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়াল বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার সুরুন ১ নং অঞ্চলের সুরুন গ্রামে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এহেনো কাজে ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলের সামনে এদিন চরম বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে যায় ইটাহার থানার পুলিশ।
জানাযায়, সুরুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বেআইনি ভাবে স্কুল চত্ত্বরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৫ টি গাছ কেটে কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে। কিন্তু গাছ কাটার আগে প্রধান শিক্ষক এলাকার প্রধান, মেম্বার, এলাকাবাসীকে জানানো তো দুরের কথা ইটাহার ব্লক প্রশাসন বা রায়গঞ্জ বনদপ্তর ও স্কুল পরিচালন সমিতির কাছে কোন অনুমতি নেয়নি বলে অভিযোগ। কাউকে না জানিয়ে এই ভাবে এতগুলো গাছ কেটে বিক্রি করার ঘটনা জানাজানি হতেই স্কুল চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বুধবার সুরুন এলাকার বাসিন্দারা।
বিষয়টি সুরুন ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর, ইটাহার ব্লক প্রশাসন সহ ইটাহার থানায় মৌখিক ভাবে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে স্কুলের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান সহ সুরুন ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, এলাকার মেম্বার সহ বাসিন্দাদের নিয়ে আলোচনায় বসার কথা জানায় ইটাহার থানার পুলিশ প্রশাসনের তরফে। সেই মোতাবেক এদিন আলোচনা সভায় সকলে উপস্থিত হলেও প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান স্কুলে না আসায় স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের স্কুলে আটকে রাখে ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা। ঘটনায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বুধবার কার্যত লাটে উঠে স্কুলের পড়াশুনা।
এই বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সুরুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান কারো কাছে কোন অনুমতি না নিয়ে স্কুল চত্বরে থাকা প্রায় ১৫ টি গাছ কেটে বিক্রি করে দেয় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক দূর্নীতির অভিযোগ আছে। গাছ কাটার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চাই ওই শিক্ষকের শাস্তি হোক।
এই বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আজাবীর রহমান জানান, আমিও বিষয়টি জানতাম না। গ্রাম বাসীরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ এনে আজ স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আমিও এসেছি এখানে। তবে প্রধান শিক্ষক কারো অনুমতি না নিয়ে এমন কর্মকাণ্ড করতে পারেন না। আমরা গ্রামবাসীরা সকলে মিলে ইটাহার ব্লক ও জেলা প্রশাসন সহ ইটাহার থানায় বিষয়টি মার্চ পিটশন আকারে জানাবো।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে বারং ফোন করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।