দামোদর নদ থেকে উদ্ধার এক যুবকের মৃতদেহ। বাগনানের রামচন্দ্রপুরের ঘটনা। অভিযোগ তাকে খুন করে নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসা করছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম সেখ হামিদুল আলি (৩২)। তার বাড়ি খালোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল হামিদুল। বুধবার বিকেলে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের তরফে হামিদুলকে খুন করা হয়েছে বলে বাগনান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাগনান থানার পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে হামিদুল মঙ্গলবার বারোটা নাগাদ বাড়িতে ভাত খাচ্ছিল। সেই সময় তাকে অভিযুক্ত শেখ মুন্না ফোন করে ডাকে। তারপরেই হামিদুল চলে যায়। এরপর দুপুর আড়াইটা নাগাদ ভিডিও কল করে তার সাথে কথা হয় বন্ধুদের এবং হামিদুল বলে এরা আমাকে আটকে রেখেছে একটু পরে যাচ্ছি। কিন্তু তার ঘন্টাখানেক পর হামিদুল বাড়ি না আসায় পরিবারের লোকেরা ফোন করে।
আরও পড়ুন – দেড় লাখ টাকা ধার নেওয়ার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এক পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ
তখন তারা হামিদুলের ফোন সুইচড অফ পায়। তারপর থেকে হামিদুলের আর কোন খোঁজ ছিল না। মঙ্গলবার সারারাত পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। তা সত্ত্বেও তারা হামিদুুলের খোঁজ পায়নি। এরপর বুধবার সকালে পরিবারের তরফে বাগনান থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। পাশাপাশি পরিবারের লোকেরাও খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তারা এরপর বিকেলে পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজির সময় কুলিতাপাড়া লকেটের অদূরে হামিদুলের গেঞ্জি দেখতে পাই । তারপর তারা আরো খোঁজাখুঁজি করলে লকেট এর কাছে হামিদুলের মৃতদেহ ভাসতে দেখে। তারাই খবর দেয় বাগনান থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। দামোদর নদ