শিলিগুড়িতে এটিএম প্রহরায় পথকুকুর। শহরের সিংহভাগ এটিএমের নেই নিরাপত্তা রক্ষী। যদিও বা নিরাপত্তারক্ষী থাকে তাও তারা রাতে প্রহরা দেওয়ার জায়গায় গভীর নিদ্রায় মগ্ন থাকেন। আর সেই কারণে জনগণের টাকা সুরক্ষিত রাখতে নিজ কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়েছে পথ কুকুরেরা। গভীর রাতে শিলিগুড়ি শহরের বেশ কয়েকটি এটিএম প্রহরা দিতে দেখা যায় পথ কুকুরদের।
রাতে শিলিগুড়ি শহরের চম্পাসারি এলাকার একটি এটিএম-এ নিরাপত্তাকরক্ষী না থাকার ছবি ধরা পড়ে। শুধু তাই নয়, শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকার একাধিক এটিএমের দরজা ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর এমনি নিরপত্তাহীনতার সুযোগ নিয়ে দূষ্কৃতীরা অপরাধ সংগঠিত করে। শুধু তাই নয়, রাতে শিলিগুড়ি শহরের একাধিক এটিএম প্রহরা দিতে দেখা যায় পথকুকুরকে।
রাতের অন্ধকারে শহরের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম মেশিন এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।তাহলে জনগণের টাকার রক্ষাকর্তা কে হবে? এমন প্রশ্ন উঠছে। সব মিলিয়ে কবে এটিএম-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।?কারণ গৌরব শর্মা শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটনের কমিশনার পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর সমস্ত ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে গত ১ জুন, ২০২১-এ এটিএম নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক সারেন। তবে শহরবাসীর অভিযোগ, বৈঠকের পরও এটিএম-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়নি। বৈঠকে কমিশনার গৌরব শর্মা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বলেছিলেন। দেওয়া হয়েছিল মোট 9টি নির্দেশনা।
পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তাদেরও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক ও যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন।কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে শহরের অবস্থিত প্রায় সমস্ত এটিএম-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন – শুভেন্দু অধিকারী আগে নিজের লোকেদের সামলাক
উল্লেখ্য, গত বছর পূজার সময় প্রায় ৬-৭টি এটিএম লুটের ঘটনা ঘটেছিল।এ বছর এখন পর্যন্ত ৩ থেকে ৪টি এটিএম লুটের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। তবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এটিএম এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা ভাবছে না। ভগবান ও পথকুকুরদের ভারসায় এটিএম এর নিরাপত্তা চলতে থাকলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের গাফিলতির সুযোগ নেবে দুর্বৃত্তের দল। এমনই আশঙ্কায় ভুগছেন শহরবাসী।
গত তিনদিনে শিলিগুড়ি শহরের এনজেপি, বর্ধমান রোড, এসএফ রোড, সেবক রোড, চম্পাসারি, প্রধান নগর, মাটিগাড়া এবং বাগডোগরা এলাকায় লাগানো এটিএমগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই। এটিএমের গেট গভীর রাতে খোলা পাওয়া গেছে এবং দুটি এটিএম-এ নিরাপত্তা কর্মীদের ঘুমন্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছে।
এমতাবস্থায় বলা ভুল হবে না যে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা বড় ধরনের অপরাধমূলক ঘটনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। শিলিগুড়ি শহরের নিরাপত্তাহীন এটিএম দেখে চিন্তিত সাধারণ মানুষও। এই ছবি সামনে আসার পর কমিশনার গৌরব শর্মা এটিএম-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কী কড়া পদক্ষেপ নেন, সেটাই দেখার বিষয়।
নিউ জলপাইগুড়ি থানা অন্তর্গত নেতাজি মোড় এলাকার বাসিন্দা সুকুমার রায় বলেন, এনটিএস মোড়ের একটি এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার আর কোন এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী নেই। তবে এটিএমের ভেতরে পথকুকুরা রাতে ঘুমিয়ে থাকে। তবে পুলিশের পেট্রোলিং চলে। এটিএম প্রহরায়