শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় সরকারবিরোধীদের প্রধান বিক্ষোভ শিবিরে অভিযান চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে বিক্ষোভকারীদের তাঁবুগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এমন অভিযান চালানো হলো। খবর বিবিসির। বিবিসি জানিয়েছে—শত শত সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের নিকটবর্তী ওই বিক্ষোভ শিবিরে অভিযানে অংশ নেন। অভিযানের সময় বিবিসির এক সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে। এক সেনাসদস্য ওই সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে অভিযানের ভিডিও মুছে দেন।
রনিল বিক্রমাসিংহে যে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হতে পারেন, সে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার পর পরই রনিল বলেছিলেন—সরকারি কোনো ভবন দখল নেওয়া কিংবা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা গণতান্ত্রিক কার্যক্রম নয়। এ ছাড়া তিনি ঘোষণা দেন—এ ধরনের কোনো কিছু করা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রনিল বিক্রমাসিংহে গতকাল শ্রীলঙ্কার নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর মাধ্যমে গোটাবায়া রাজাপাকসের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। এর আগে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে গিয়ে পদত্যাগ করেন গোটাবায়া। তবে, রনিল বিক্রমাসিংহকেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। এরই মধ্যে তাঁকে হটাতেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গত বুধবার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমাসিংহে।
আরও পড়ুন – শিলিগুড়িতে এটিএম প্রহরায় পথকুকুর
এর আগে তিনি একই সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশত্যাগের আগে তাঁকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে যান। এদিকে, বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসার প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি সরে দাঁড়ান। গত শনিবার বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট প্যালেস থেকে পালিয়ে যান গোটাবায়া রাজাপাকসে। তারপরেই তিনি প্রথমে মালদ্বীপ ও সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান। তাঁর ভাই ও সাবেক অর্থমন্ত্রী বসিল রাজাপাকসেও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে গণবিক্ষোভের জেরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।