গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক অশ্বিনী কুমার সিংহ

গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক অশ্বিনী কুমার সিংহ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক অশ্বিনী কুমার সিংহ। ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ব্যানারে পরিচালিত নবম-দ্বাদশের মেধাতালিকা ভুক্ত হবু শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের সমর্থনে ধর্ণায় বসেছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সমাজ সুধারক অশ্বিনী কুমার সিংহ মহাশয় । তিনি নিজের সমাজ সুধারক বিচারের জন্য বর্তমানে দিল্লি, কলকাতা, দক্ষিণ ভারত সহ সমগ্র হিন্দুস্থানে চর্চার বিষয় হয়ে আছেন।

 

গান্ধীমূর্তির পাদদেশে নবম- দ্বাশশের মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক- শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য যে ধর্ণা চলছে সেই ধর্ণাকারীদের সমর্থনে বিশিষ্ট সমাজসেবক অশ্বিনী কুমার সিংহ মহাশয় কয়েকদিন ধরে তাদের সাথে ধর্ণায় বসেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত সকল শিক্ষক-্শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগ করা হোক।

 

প্রচন্ড রোদ্দুর অথবা অতিবৃষ্টির কাছেও হার মানেনি ধর্ণাকারিগণ।ধর্ণা মঞ্চে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থানে থাকার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন খাইরুল ইসলাম, মিরাজ মোস্তফা, কৈলাস লেট, সুবোধ হালদারের মতো ধর্ণাকারিগণ। ধর্ণা মঞ্চে না আছে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা, নেই মহিলা টয়লেটের ব্যবস্থা। বৃষ্টি হলে ধর্ণা মঞ্চে জল জমে যায় ফলে ধর্ণাকারীদের ধর্ণা মঞ্চে বসে থাকা যায় না। তবুও ধর্ণারত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীগণ ধর্ণা মঞ্চ আঁকড়ে ধরে পড়ে রয়েছেন গান্ধীমূর্তির ধর্ণা মঞ্চে।

 

ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীগণ জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের গেজেট লঙ্ঘন এবং অবৈধভাবে নিয়োগের কারণে তারা মেধাতালিকা ভুক্ত হয়েও চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মেধাতালিকায় সামনের দিকে চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ না করে অনেক পিছনের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থীদের Rank drop করে নিয়োগ করা হয়েছে। মেধাতালিকায় নাম নেই এমন ফেলকরা বহু প্রার্থীদের অবৈধভাবে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীগণ।

 

চাকরি প্রার্থীগণ জানিয়েছেন যে ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে কলকাতার বুকে তারা ৪৯৫ দিন ধরে ন্যায্য চাকরি ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। চাকরি প্রার্থীগণ জানিয়েছেন যে ২০১৯ সালে কলকাতার প্রেসক্লাবের সামনে যখন তারা ২৯ দিনের অনশনে বসেছিলেন,সেই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া উক্ত অনশন মঞ্চে এসে তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে মেধাতালিকা ভুক্ত কোন চাকরি প্রার্থী বঞ্চিত হবে না।

 

প্রয়োজনে আইনের কিছু পরিবর্তন করে হলেও মেধাতালিকা ভুক্ত সকল শিক্ষক – শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। আবার ২০২১ সালের ঈদ মহোৎসবের দিন মুখ্যমন্ত্রী গান্ধীমূর্তির পাদদেশের ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীদের ফোন মারফত আশ্বাস দিয়েছিলেন যে চাকরি প্রার্থীদের বিষয়টি তিনি নিজে দেখছেন এবং উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি পথ বের করবেন এমনটাই জানা যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও এখন ও সমস্যার সমাধান হয়নি। কবে হবে সমস্যার সমাধান? কবে ন্যায্য চাকরি ফিরে পেয়ে তাদের ছেলে- মেয়েরা স্্সারের হাল ধরবেন? জানতে চাইছেন ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীগণ সহ তাদের অভিভাবকগণ ‌।

 

সমাজে প্রশ্ন ওঠতে শুরু করেছে উন্নয়ন নাকি বাংলাজুড়ে , তাহলে যোগ্য চাকরি প্রার্থীগণ বঞ্চিত হয়ে কেন বসেছেন রাস্তার ধারে। গ্রামবাংলায় প্রশ্ন ওঠতে শুরু করেছে ঘরের মেয়ে ঘরে থাকতে,কেন সাধারণ কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরদের ছেলে মেয়েরা আজ ধর্ণায়? যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল জানিয়েছেন যে নবম- দ্বাদশের মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত সকল শিক্ষক-্শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের অতি দ্রুত চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। তিনি তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের জনপ্রিয় রাজ্য নেতৃত্ব হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর জরুরীকালীন হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রার্থনা করেছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top