জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে পূর্নার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিকল্প ব্যাবস্থার মাধ্যমে জল ঢালার ব্যাবস্থা করার নির্দেশ জেলা প্রশাসনকে।
শ্রাবন মাসের আগামী দুই রবিবার ও সোমবার জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে পুন্যার্থীরা ঢুকতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জল ঢালতে হবে মন্দিরের বাইরে থেকে, নির্দেশ হাই কোর্টের।
বিচারপতির নির্দেশ মন্দিরের বাইরে তিনটি জায়গায় জল ঢালতে হবে, সেই জল চ্যানেলের মাধ্যমে গর্ভগৃহে পৌঁছবে।
শুক্রবার হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিটে জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢোকার পথ অপ্রশস্ত এবং শ্রাবণ মাসের সোমবার প্রবল ভিড় হচ্ছে পূর্নার্থীরা অসুস্থ হচ্ছে জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দা। মামলা গ্রহন করা হয়।
আরও পড়ুন- ডিজে বক্স বাজানো বন্ধে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ীদের কড়া নির্দেশ
শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্দির কমিটির সম্পাদক এবং জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের তলব করে মামলা শোনেন।
গত রবিবার রাতে জল্পেশে যাওয়ার পথে পিকআপ ভ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১০ জন পুন্যার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। মন্দিরে ঢোকার পথেও ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনেকে।
রায়ে যা বলা হয়েছে ঃ-
১) শ্রাবন মাসের আগামী দুই রবিবার ও সোমবার জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে পূর্নার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেনা।
২) মন্দির প্রাঙ্গনে এসে বিশেষ ব্যাবস্থার মাধ্যমে জল ঢালবে।
৩) এই দুই দিন কোনোও রকম টিকিট বিক্রি করা যাবেনা।
৪) প্রয়োজনীয়তা ব্যাবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ।
সরকারি আইনজীবী বিক্রমাদিত্য ঘোষ জানিয়েছেন এক পূর্নার্থী জল্পেশ মন্দিরে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি মামলা করেছিলেন। তার মামলার শুনানিতে জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন আগামী দুই রবিবার ও সোমবার জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে পূর্নার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেনা। যেই সকল পূর্নাথীরা আসবেন তারা বাইরে একটি বিশেষ ব্যাবস্থার মাধ্যমে জল ঢালবে। এই দুই দিন কোনোও টিকিট বিক্রি করা যাবেনা। এরজন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরিন্দ্রনাথ দেব জানিয়েছেন শ্রাবন মাসের আগামী দুই রবিবার ও সোমবারের জন্য এই নির্দেশ দিয়েছেন। পূর্নার্থীরা রবিবার রাত দুটা থেকে সোমবার বিকেল ৪ টার মধ্যে মন্দিরে এসে জল ঢালতে পারবে। কিন্তু মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেনা। মন্দির চালাতে বিভিন্ন খাত মিলিয়ে বছরে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। পূর্নার্থীরা যেই টিকিট কেটে মন্দিরে ঢোকে তা দিয়ে এই খরচের একটা বড় অংশ ওঠে। এখন তা ধাক্কা খাবে।