নাবালিকা ধর্ষনে এবার অভিযোগকারীনিকেই সাজা দিল মেখলিগঞ্জ আদালত। প্রায় ৫ বছর ধরে মামলা চলার পর অবশেষে রায় ঘোষনা করলো আদালত। রায়ে অভিযুক্তর বেকসুর খালাস ও অভিযোগকারীনির ১৫ দিনের জেল হেপাজত ও নগদ ১ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার এই রায়ের কথা ঘোষনা করেন মেখলিগঞ্জ অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন অ্যান্ড জাজ শুভেন্দু সাহা। অতি বিরল এই রায়দানে হতবাক মেখলিগঞ্জবাসী।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলিয়া খালিসা এ পি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তিলক রায়ের নামে নাবালিকাব ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেন নাবালিকা ছাত্রীর মা। অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা শুরু হয়। এই ঘটনার পর ৭১২ দিন জেল হয় ওই শিক্ষকের।
আরও পড়ুন- ডিজে বক্স বাজানো বন্ধে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ীদের কড়া নির্দেশ
তার পরেও এই মামলা চলতে থাকে। ফলে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমানের অভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বেকসুর খালাস ও মিথ্যে মামলা দায়ের করার অপরাধে অভিযোগকারিনীকে ১৫ দিনের জেল হেপাজত সহ নগদ ১ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার দিন কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে অভিযোগকারিনীকে আটক করে কারাগারে রাখা হয়।
এদিকে মিথ্যে মামলার দায়ে ওই শিক্ষক খেটেছেন ৭১২ দিন জেল। জেলে থাকা কালীন সময়ই তার স্ত্রী তাকে ও তার দুই নাবালক সন্তানকে ফেলে রেখে অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে যায়। অবসাদে ভুগতে থাকেন ওই শিক্ষক।
রায় ঘোষনার পরের দিন ওই শিক্ষক জানান, আদালতে নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় আবার স্বমহিমায় কর্মস্থলে ফিরতে চাই।
উল্লেখ্য, নাবালিকা ধর্ষনে এবার অভিযোগকারীনিকেই সাজা দিল মেখলিগঞ্জ আদালত। প্রায় ৫ বছর ধরে মামলা চলার পর অবশেষে রায় ঘোষনা করলো আদালত। রায়ে অভিযুক্তর বেকসুর খালাস ও অভিযোগকারীনির ১৫ দিনের জেল হেপাজত ও নগদ ১ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার এই রায়ের কথা ঘোষনা করেন মেখলিগঞ্জ অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন অ্যান্ড জাজ শুভেন্দু সাহা। অতি বিরল এই রায়দানে হতবাক মেখলিগঞ্জবাসী।