ডেঙ্গি প্রতিরোধে ছুটির দিনে রাস্তায় নেমে গাপ্পি মাছ ছাড়লো পুরনিগম। ওয়ার্ড ভিত্তিক জলাশয় চিহ্নিত করে মঙ্গলবার সাড়ে ছয় লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়। ডেঙ্গি লার্ভা নিধনে বর্ষার মরশুমের আগে থেকেই একাধিক সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে শহরে সংক্রমন দমনে নেমেছে শিলিগুড়ি পুরবোর্ড। বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড অনুযায়ী শিলিগুড়ি শহর ও সংলগ্ন এলাকা মশা বাহিত রোগ প্রবন স্থান হিসেবেই চিহ্নিত।
ফলে এবারে পুরনিগমের তরফে আগেভাগেই নিয়মিত নিকাশি নালা সাফাইয়ের পাশাপাশি এন্টি লার্ভা স্প্রে, মশার লার্ভা নিধনে ফগিং স্প্রেয়িংয়ের উপর জোর পরোখ করা হয়। জানুয়ারি থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৩। সংক্রমনের নিরিখে কোভিডের আগে অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গির আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও ব্যতিক্রমি ভাবে কোভিডের সময়তে টানা দু বছর ডেঙ্গির প্রকোপ একেবারেই নেমে আসে।
এবারে পুর এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমন রুখতে সাড়ে ছয় লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়া হলো এদিন। শিলিগুড়ি পুরনিগম থেকে শহরের পাচঁটি বোরোতে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব জানান শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় মশা বাহিত রোগের একটা প্রকোপ রয়েছে। ডেঙ্গি ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে পুর এলাকার নিকাশির পাশাপাশি শহরের জলাশয় গুলিতে গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে। মেয়র বলেন ডেঙ্গি প্রতিরোধে শহরের সমস্ত ওয়ার্ডের জলাশয়গুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন
প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় জলাশয়ের একটা ভূমিকা রয়েছে তাই জলাভূমি গুলিকে বুজিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে মশার লার্ভা জন্ম নেয়। ফলে এই জলাশয় গুলিতে গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে। এই মাছ মশার লার্ভা নিধন করে। এরফলে কিছুটা হলেও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। বিগত বছরেও গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছিল যা ভালো ফল দিয়েছে।
পুরনিগমের আবজর্না নিষ্কাশন বিভাগের মেয়র পরিষদ মানিক দে বলেন বিগত বছরগুলিতে আসা গাপ্পি মাছের গুণগতমান ঠিক ছিলনা। এবারে আগেভাগে নমুনা পর্যবেক্ষণ করে ময়নাগুড়ির স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষের বেশি গাপ্পি মাছ নেওয়া হয়েছে। পাঁচটি বোরো ভিত্তিক বিভিন্ন ওয়ার্ড গুলিতে তা ছাড়া হয়। বিভিন্ন বোরো গুলি কন্টেনারে করে গাপ্পি মাছ নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নিকাশি জলাভূমিতে তা ছাড়ছে।



















