চুঁচুড়া থানার পুলিশ কোদালিয়া মনসাতলায় হানা দিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র,গুলি, বিস্ফোরক উদ্ধার করল।গ্রেফতার আট জন দুষ্কৃতি। হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতি টোটোন বিশ্বাসকে ইমামবাড়া হাসপাতালে গুলি করে প্রাণে মারার চেষ্টার পর নরেচরে বসে চন্দননগর পুলিশ। টোটোন বিশ্বাসকে এসএসকেএম থেকে চুঁচুড়া আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় টোটোন বাহিনী প্রিজন ভ্যানের পিছু নেয়। ডানকুনিতে ৩৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে টোটনের ভাই রূপচাঁদ। তাদের জেরা করে পুলিশ আরো কিছু দুষ্কৃতীদের সন্ধান পায়। চুঁচুড়ার রবীন্দ্র নগর এলাকায় টোটোনের বাড়ি। এক সময় সেই এলাকায় নিজের সাম্রাজ্য চালাত টোটোন। তার সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই গ্যাং এর দুষ্কৃতিরা এলাকা ছেরে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়। কোদালিয়াতেও আশ্রয় নেয় কয়েকজন। খবর পেয়ে গতকাল রাতে মনসাতলায় সুকুমার মাঝি ওরফে সুকুর বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন- বিপুল পরিমাণ রেশনের চাল, আটা বাজেয়াপ্ত করল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ
২০ টি আগ্নেয়াস্ত্র তার মধ্যে ৯এমএম, পিস্তল পাইপ গান উদ্ধার করে। উদ্ধার হয় তিনটি ফাঁকা ম্যাগাজিন ও ২০৭ রাউন্ড কার্তুজ। ২ কেজি বিস্ফোরকও উদ্ধার করে পুলিশ। হীরালাল পাশোয়ান(হিরুয়া), সুজিত মন্ডল, সোমনাথ সরদার(জিতু), বিকাশ রাজভর, রবি পাশোয়ান(রবিয়া), নীল পাশোয়ান, সুকুমার মাঝি ও সৌমিত্র কর্মকার ওরফে ফাটা, মোট আট জনকে গ্রেফতার করে।
আজ ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য এর আগে ২০২০ সালে টোটোনকে যখন চন্দননগর পুলিশ গ্রেফতার করে তখন তার কাছ থেকে কারাবাইনের মত আধুনিক অস্ত্র সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। টোটোনকে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবু পাল সহ পাঁচজনকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ।।।