কখনো ঘরে চিতাবাঘ আবার কখনো জংলী হাতির হানা, ডুয়ার্স জুড়েই বাড়ছে মানুষ ও বন্যপ্রাণের সংঘাত ** চা বাগানের ডিরেক্টর বাংলোতে তান্ডব চালালো বুনো হাতির দল। এবারে শ্রমিক মহল্লায় নয় এবার চা বাগানের ডিরেক্টর বাংলোয় হানা দিল হাতির দল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের হলদিবাড়ি চা বাগানের ডিরেক্টর বাংলোতে ৩০/৩৫ টি বুনো হাতি ঢুকে তান্ডব চালিয়ে কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে।
অভিযোগ চা বাগানের ডিরেক্টর বাংলোর বারান্দা সহ আসবাব সম্পূর্ন ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে হলদিবাড়ি চা বাগানে এক দল হাতি ঢুকে পড়েছিল। এদিন রেতির জঙ্গল থেকে তোতাপাড়া জঙ্গলে যাওয়ার পথে ৩০-৩৫ টি হাতির দল বাগানে দাঁড়িয়ে যায়।বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড খবর পেয়ে দলটিকে ড্রাইভ করে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়। অভিযোগ ওই দলটি পুনরায় রাতে ফিরে এসে ডিরেক্টর বাংলোতে তান্ডব চালিয়েছে। জেনারেল ম্যানেজার প্রদীপ কুমার ঘোষের অভিযোগ তাদের চা বাগানে প্রতিনিয়ত হাতি আসে। কিন্তু হাতির নির্দিষ্ট করিডোর হিসেবে এই এলাকা চিহ্নিত নেই।
আরও পড়ুন – তৃনমূল নেতা- মন্ত্রীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভ মিছিল
একাধিকবার এসব নিয়ে বনদপ্তরে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।কিন্তু কোনো সুরাহা হয় নি। দীর্ঘদিন ধরে তাদের চা বাগানে বহু ক্ষতি করেছে হাতির দল। কিন্তু তারা আজও কোনও ক্ষতিপূরন পায়নি। একের পর এক হাতির হানা নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত রয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার শুভাশিস রায় বলেন বনদপ্তর কাজ করেনা এই অভিযোগ ঠিক নয়। তার কারন গতকাল সকালে ওই চা বাগানে হাতি আসার খবর পাওয়া মাত্রই আমরা গিয়ে হাতি ড্রাইভ করে দেই। রাতে ওই চা বাগানে হাতি আসার খবর আমরা পাইনি।পেলে নিশ্চয়ই যাওয়া হোতো । আইন অনুযায়ী চা বাগানে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না৷ তাই উনারা পাননি। ডুয়ার্স-জুড়েই-বাড়ছে-মানু