তিনশো বছরের ঐতিহ্যের মুর্শিদাবাদের বেড়া উৎসব। আজও ততটাই উজ্বল, মুর্শিদাবাদের নবাবী ইতিহাস যত পুরোনা বেড়া উৎসবের ঐতিহ্য ঠিক ততটাই পুরানো। ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে বেড়া উৎসবের সুচনা করেন বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নাবাব মুর্শিদকুলি খাঁ। দিল্লির মোগল সম্রাটের কাছে মুর্শিদাবাদ থেকে নাজরানা পৌছাতো জল পথে, সেই নাজরানা মাঝে মধ্যেই জল দস্যুরা লুঠ করে নিত। সেই কারনেই নবাব জল দেবতা হজরত খৌজা খিজির আল্লা হো সালামের উদ্দেশ্যে এই বেড়া উৎসবের সুচনা করেন।
দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ফল মিষ্টি সুজি দিয়ে তৈরী করা হত ডালিয়া, দুধ ও ঘি দিয়ে তৈরী করা হয় রোট এই গুলি পুজোর সামগ্রী হিসাবে দেওয়া হত। গঙ্গার উপরে ৪০ ফুট বাই ৪০ ফুটের কলার ভেলা তৈরী করে আতস বাজি রঙ্গিন মোমবাতি সহযোগে সেটিকে সাজানো হয়। চার টি কুমীরের মুখের আকৃতির নৌক তৈরি করা হয়। সেই গুলিই প্রতিকি হিসাবে ভাসিয়ে দেওয়া হয় কলার ভেলায়। একটি সোনা ও ৫ টি রুপোর প্রদীন জ্বালিয়ে ভেলা করে ভাষিয়ে দেওয়া হয় নদীতে । নিয়ম হিসাবে ভাদ্র মাসের শেষ বৃহস্পতীবার এই বেড়া উৎসব হয়ে থাকে। কিন্তু মহরম চলে এলে সপ্তাহ খানেক এগিয়ে আনা হয়। এই বার মহরম চলে আসার কারনে বেড়া উৎসবকে কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে। এই বছর বেড়া উৎসব ৩১৫ বছর অতিক্রম করল । সমগ্র অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন মুর্শিদাবাদ এস্টেট বিচার বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এস্টেট ম্যানেজার অচিন্ত সিংহ সমগ্র বিষয়টির দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন।