বৃহস্পতিবার সকালে প্রাতঃভ্রমনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যা বললেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নিউটাউন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে মিডিলম্যানরা চাকরির নামে প্রচুর টাকা তোলার অভিযোগ।
তিনি বলেন…..
এই যারা মিডিলম্যান তারা বাইরেরও আছে ,পার্টির আছে, সরকারি কর্মচারীরা আছে, প্যারা টিচার আছে এরাই সমস্ত টাকা কালেকশন করে নিয়ে এসেছে এবং মনে হচ্ছে নাম মুখে মুখে ঘুরছে আমার মনে হয় এদেরকে ধরলে পুরোটা ধরা পড়ে যাবে কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, কার কাছে পৌঁছে দিয়েছে এইসব দালালদেরকে ধরার দরকার আছে।
৪৩ হাজার পুজোকে ২৯৮ কোটি টাকা পূজো কমিটি গুলোকে অনুদান দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন……
হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন অবশ্যই অনেক বিষয় নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হচ্ছে। আর যেখানে একটা পুজো কমিটি ও টাকা চায়নি। মমতা ব্যানার্জির থেকে আমরা পূজা করতে পারছি না টাকা দিন কেন দেওয়া হচ্ছে,সাধারণ মানুষ চাঁদা দেয় আনন্দের সাথে পুজোয় অংশগ্রহণ করে উনি কেন সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা উন্নয়নে লাগতো ,স্কুল- কলেজ বিল্ডিং তৈরিতে লাগতো, স্কুলের টিচারদের পেনশনে লাগত সেটাকে কেন দান খয়রাতি করছেন শুধু ভোট কেনার জন্য,এখন উনি গাড্ডায় পড়েছেন পুজো কমিটিগুলোকে কিনে নেওয়ার জন্য মুখ বন্ধ করার জন্য পুজো কমিটি এই প্যান্ডেল গুলোতে নিজের ছবি ছাপানোর জন্য ওগুলো উনি ব্যবহার করছেন উনাকে এই অধিকার কেউ দেয়নি।
অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি ছিলেন অতিরিক্ত খোশমেজাজে তার ১৪ দিনের জেল হেফাজত হলো অতিরিক্ত খোশমেজাজ এর কারণ কি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন…..
জানিনা ভেতরে কি হয়েছে উনি বুঝতে পারছেন। এবার বেল হয়ে যাবেন বা কেউ কেউ বলেছেন চিন্তা করুন আমরা আছি আমার মনে হচ্ছে যে ধরনের সম্পত্তি উনার পাওয়া যাচ্ছে এত সহজে উনি ছাড়া পাবেন না। সাজা উনাকে পেতেই হবে উকিলরা বলেছেন হেসে কথা বলুন তাই হয়তো উনি করেছেন।
অনুব্রত আইনজীবী গতকাল কোর্টে সওয়াল জবাবে বলেছেন নিজাম প্যালেসের পাশেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকবেন বীরভূমের মাটিতে পা দেবেন না জামিন দিয়ে দিন কিন্তু জামিন খারিজ হয়েছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দেখুন উনি না থেকেই কোর্টের জজকে পর্যন্ত হুমকি দিচ্ছেন ওখানে সমস্ত কিছু উনার পরিচালনায় যে ধরনের ব্যবসায়ীরা কথা বলছেন অন্যান্য লোকেরা যারা কথা বলছেন যে ধরনের ঘটনা শোনা যাচ্ছে উনি যদি ছাড়া পান সমস্ত কিছু চাপা পড়ে যাবে কোনরকম তদন্তই এগোবে না কেউ কোনো রকম তথ্য দেবেনা সেই জন্য যতক্ষণ না তদন্তে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য আসছে তাকে নিশ্চয়ই আটকে রাখা উচিত এবং জেলে রাখা উচিত।
সিবিআই বলছে জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত আর অনুব্রত বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তার জন্য অনেক করেছেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন…..
মুখ্যমন্ত্রী করেছেন এখনো করছেন এবং অনুব্রতকে আটকাবার অধিকার কারণ নেই এবং হাজার হাজার অনুব্রত আমাদের কাছে তৈরি হয়ে আছে। একটা অনুব্রত দিয়ে যদি এই নাটক হয় এত পরিমান ধন সম্পত্তি পাওয়া যায় হাজার হাজার অনুব্রত থাকলে বাংলায় কি কি পরিমান লুট হয়েছে তার অনুমান আমরা করতে পারি।
তৃণমূল দল জাতীয় না হলেও তা অপরাধ এবং ক্ষমতা জাতীয় স্তর পর্যন্ত। শুধু জাতীয় নয় আন্তর্জাতিক পর্যন্ত আছে বাংলাদেশের সঙ্গে তৃণমূলের যে লেনদেন যাতায়াত এবং তার নেতাদের টাকা ভারতবর্ষের বাইরে বহু দেশে আছে সেই সব দেশেই যান তথ্য পাওয়া যাবে হয়তো পেয়েছে আগামী দিনে। এই জিনিসগুলো বাংলা র সাধারণ মানুষ জানতো তার তথ্যপ্রমাণ দরকার ছিল সেটা সিডিআই বা এটি যোগাড় করছে আর এটা খুব প্রয়োজন আছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব দলকে এক হতে আহ্বান জানিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মহাজোট কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ১৩ই সেপ্টেম্বরের নবান্ন অভিযান কে কেন্দ্র করে সুকান্ত মজুমদার বলছেন বিজেপির পতাকা ব্যানার নিয়ে না যেতে পারলে নিজেদের ব্যানার পতাকা নিয়ে আসুন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন…….
যদি নরেন্দ্র মোদিকে হটাবার জন্য ডানবাম সাদা কালো নীল এক হতে পারে বাংলার স্বার্থে বাংলার ভবিষ্যতের সাথে আমার সভাপতি যদি আহ্বান করে থাকেন যারা বাংলা ভবিষ্যৎ ও গণতন্ত্র নিয়ে ভাবছেন তাহলে আসা উচিত মমতা ব্যানার্জিকে হাঁটাবার জন্য আপনি আপনার ঝান্ডা রাখুন আপনার এজেন্ডা রাখুন নির্বাচনে আপনি আপনার বক্তব্য রাখুন কিন্তু আজ বাংলা যে সংকটে পড়েছে সেখান থেকে এক হওয়ার দরকার আছে।নাহলে এই যে ব্যাপক দুর্নীতি এর অনেকদূর শেকড় গজিয়ে গেছে তাকে উপরে ফেলা সম্ভব নয় তাই জন্য পশ্চিমবাংলার ন্যাশনাল ডিজেস্টার হয় বাংলার ক্ষেত্রে স্টেট ডিজাস্টার এটা।
আরও পড়ুন – ফের আদিবাসীদের দৃষ্টি আর্কষন বিজেপির, এবার আদিবাসী গৃহে মধ্যাহ্নভোজন সৌমিত্র লকেটের
নবান্ন অভিযানে দিলীপ ঘোষ উপস্থিত থাকার বিষয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সাথে আপনার কোনো কথা হয়েছে। এই নিয়ে তিনি বলেন…..
দিলীপ ঘোষ দলের একজন সাধারণ কর্মী। দলের উর্ধে কেউ নয়। দল যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় কোনো কর্মসূচি নেয়,আমাকে জানালে আমি কর্মী হিসেবে অংশ নেব।
পঞ্চায়েত ভোটে গণতন্ত্রের বার্তা অভিষেকের
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের গণতন্ত্রের বার্তা আমরা দেখেছি। ফুল নির্বাচনটা তারা গণতান্ত্রিকভাবে করেছেন বলতে পারবেন? সদ্য দুটি ওয়ার্ডে ভোট হল। ভোট লুট করতে বাইরের বিধায়ককে পর্যন্ত রাস্তায় নামানো হচ্ছে। এরা থাকতে কোন কিছুই গণতান্ত্রিকভাবে হওয়া সম্ভব নয়। এক বিশেষ জেলার কথা তিনি বলেছেন, সেই জেলাতেও ভোট গণতান্ত্রিকভাবে হবে বলে আমার মনে হয় না।