ব্যারাকপুর বটতলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য

ব্যারাকপুর বটতলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

চলতি সপ্তাহে পর পর তিনদিন রাতের অন্ধকারে আচমকা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের বটতলা এলাকায়। শুক্রবার গভীর রাতে ওই এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রয়াত খোকন গাঙ্গুলীর বাড়ির নিচের তলার গ্যারেজে রাখা একটি চার চাকার গাড়িতে আচমকাই আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা গাড়িটির লেলিহান শিখা দেখে স্থানীয় লোকজন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে প্রাথমিক ভাবে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।

 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি তদন্তে আসে টিটাগড় থানার পুলিশও। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চার চাকার গাড়িটি কার্যত ভুষ্মিভূত হয়ে গেছে। প্রসঙ্গত গত রবিবার ও বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওই এলাকার রাস্তার ধারে থাকা দুটি দোকানে আচমকা আগুন লেগে ভষ্মিভুত হয়ে গিয়েছিল। চলতি সপ্তাহে পরপর তিনবার এলাকায় এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়রা রিতিমত চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন।

 

ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার ব্যাবসায়ী মহল থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে গাড়ির মালিক সুচন্দন বিশ্বাস বলেন,সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। গত রবিবার ও বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে বাড়ির সামনে ও উল্টো দিকে দুটি দোকানে পরপর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। এদিনও একই সময় আমার গ্যারেজে রাখা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল। তার দাবি তিনটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ সংযোগ সংক্রান্ত কোন সম্পর্ক নেই। তাই যেভাবে ঘটনাগুলি ঘটছে,তা দেখে মনে হচ্ছে কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে শত্রুতা বশত এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। তবে এলাকায় আমার সঙ্গে কারও কোন ব্যাক্তিগত শত্রুতা নেই।

আরও পড়ুন – নিজের মেয়ে নাতনির ওপরে এসিড ছুড়ে মারলো নিজেরই মা বাবা সঙ্গে বাদ গেল না নিজেদের নাতনও

স্থানীয় এক দোকান মালিক অজয় দাস বলেন,চলতি সপ্তাহে পরপর দুবার রাস্তার দুটি দোকানে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। এদিন ফের পাশের একটি বাড়ির গ্যারেজে থাকা গাড়ি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল। তবে কি ভাবে এই ঘটনাগুলো ঘটছে বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। তাই প্রশাসনের কাছে দাবি করছি,অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার। নাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমেছে টিটাগড় থানার পুলিশ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top