আরো বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিস পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্নকুমার রায়ের। কয়েক কাটা বা কয়েক বিঘা নয় ১৮৩ একর জায়গা জুড়ে রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছিল। এই সমস্ত টাই বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করে করা হয়েছিল বলে জনস্বার্থ মামলা হয় উচ্চ আদালতে এরপরই আদালত নির্দেশ বিধান নগর পুরো নিগমকে যাতে এই জলাভূমি গুলিকে উদ্ধার করা হয়।
এই মুহূর্তে বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশের উপস্থিতিতে বিধাননগর পৌর নিগম সেই জলাভূমি গুলিকে পুনরুদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে। আর এই রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করার দায়িত্ব ছিল প্রসন্নকুমার রায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীবলাল ধর। রাজীব লাল ধর এর আগে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল, প্রাইমারি শিক্ষক পদে চাকরি দেয়ার নাম করে প্রতারণার চক্রে মাথা ছিল বলে অভিযোগ রাজীব লালধর এর বিরুদ্ধে।
বিধান নগর পুরো নিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড ছয়নাবি কুলি পাড়া এলাকায় শুধুমাত্র দুর্নীতির টাকা খাটিয়ে সম্পত্তি বিস্তার নয় বেআইনিভাবে একাধিক জলাভূমিও ভরাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এখানে কাজ করতে আসা কর্মীদের দাবি দীর্ঘ বছর ধরে চলছে এই কাজ, জলাভূমি ভরাট করা হয়েছে, সেখানে রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছে। এগুলো কি কারোরই চোখে পড়লো না পুলিশ প্রশাসন বা পৌর নিগম আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিদের।
আরও পড়ুন – রাজ্য সরকার ক্লাব গুলিকে দুর্গাপূজার টাকা দিলেও মৃৎশিল্পীরা পেলনা কোনও সরকারি সাহায্য
উল্লেখ্য, 2017 সালে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে সাড়ে চার লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। গঙ্গারামপুর থানায় এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে৷ এই মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল মাথা হিসাবে নাম উঠে আসে রাজীব লালধর নামে এক ব্যক্তির। তাকেও পরবর্তী সময় অর্থাৎ চলতি বছরের মার্চ মাসে নিউ টাউন থেকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। আর এই রাজীব লাল ধর তিনি হলেন প্রসন্নকুমার রায়ের ঘনিষ্ঠ। বিধান নগরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮৩ একর জলাভূমি ভরাট করে রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছিল, সূত্রের খবর, রাজিব লাল ধর এর এই রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করার মূল দায়িত্বে ছিল।