লবনের বদলে মিডডে-মিলের খিচুরিতে ডিটারজেন্ট পাওডার, অসুস্থ ১২ জন খুদে পড়ুয়া। মিডডে-মিলের খিচুরিতে লবনের বদলে ডিটাজেন্ট পাউডার। এতেই ঘটল বিপত্তি। মিডডে-মিলের খিচুরি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল প্রায় ১২ জন খুদে স্কুল পড়ুয়া। এমনি ঘটনায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়াল শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের কাপাশিয়া অঞ্চলের ছিলিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। জানাযায় স্কুলের মোট পড়ুয়া ২০৮ জন। তবে এদিন স্কুলে আসে ১২৭ জন পড়ুয়া।
বেশকয়েক জন পড়ুয়া খাবার খেয়ে অসুস্থ বোধ করলে পড়ুয়াদের ভর্তি করা হয় ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে ১ জন পড়ুয়াকে ভর্তি করা হলেও বাকি ১১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এমন ঘটনার জেরে স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুল ঘরে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয় বাসিন্দা সহ অবিভাবকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইটাহার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন – ৮ বছর আগে খুনের মামলায় গ্রেফতার ২
বিক্ষোভের জেরে শিকেই উঠে স্কুলের পঠন পাঠন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ কি ভাবে মিডডে-মিলের খাবারের মধ্যে লবনের বদলে ডিটার্জেন্ট পাউডার দিয়ে দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ সহ রাধুনিরা। এতে বাচ্চাদের জীবন সংশয় হতে পারত। এই গাফিলতির জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইটাহার ব্লক ও পুলিশ প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তান্তরের দাবি তুলে দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘন্টা ধরে স্কুলের প্রাধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের আটকে রাখা হয়। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় পরে ঘটনাস্থলে যায় ইটাহার থানার আইসি মানবেন্দ্র নাথ সাহার ও ইটাহার ব্লক যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অঙ্কুর বিশ্বাস সহ ইটাহার ব্লক ও পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা।
তবে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ সহ অভিভাবক দের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ আধিকারিকরা। স্কুলের রাধুনিদের শোকজ করা হয়েছে ইটাহার ব্লক প্রশাসনের তরফে বলে জানাযায়। এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আরজাউল হকের, দাবি রান্নার গুনগত মান খারাপ হওয়ায় আজকের খাবার দিতে মানা করেছি রাধুনিদের। তবে রান্নায় লবনের বদলে কি মিশিয়েছে সেটা রাধুনিরাই বলতে পারবে। সেই বিষয়ে জানি না।