খুশির হাওয়া তরাই ডুয়ার্স চা বলয়ে। পুজোয় চা শ্রমিকদের ঘরে উঠবে ২০শতাংশ বোনাস। মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে চা শ্রমিক স্বার্থে বড় জয় তৃনমূল চা শ্রমিক ইউনিয়নের। তবে জট কাটলো না পাহাড়ে, পুনরায় দ্রুত ফের বৈঠকের আশ্বাস তৃনমূলের শিলিগুড়ি।
খুশির হাওয়া তরাই ডুয়ার্স চা বলয়ে। পুজোয় চা শ্রমিকদের ঘরে উঠবে ২০শতাংশ বোনাস। মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে চা শ্রমিক স্বার্থে বড় জয় তৃনমূল চা শ্রমিক ইউনিয়নের। কোভিডের জড়া কাটিয়ে উঠেও পুজোর মুখে শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে টালবাহানায় নামে বাগান মালিকপক্ষ।
শুক্রবার চা বাগান মালিক পক্ষের সঙ্গে বোনাস বৈঠক করে উত্তরের সমস্ত চা শ্রমিক সংগঠনগুলি। বৈঠকে বিস্তর কথোপকথনের পর অবশেষে বড় সাফল্য মেলে চা শ্রমিক সংগঠন গুলির। একত্রে উত্তরবঙ্গের সমতলের ৮৫টি ছোট বড় চা শ্রমিক সংগঠনগুলি বোনাস নিয়ে চাপ সৃষ্ঠি করে মালিকপক্ষের ওপর। মালিক পক্ষকে রাজ্যের নির্ধারিত বোনাস কাঠামোয় সঠিক সময়ে শ্রমিকদের বোনাস প্রদানের দাবি জানায় তৃনমুল চা শ্রমিক সংগঠন। অবশেষে শ্রমিক সংগঠনগুলির চাপের মুখে বোনাস প্রদানে রাজি হয় মালিক পক্ষ।
আরও পড়ুন – বাংলার দূর্গা পূজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে সন্মান জানিয়ে শোভাযাত্রা শহর জলপাইগুড়িতে
দার্জিলিং জেলা তৃনমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি নিৰ্জল রায় জানান বিস্তর কথোপকথনের পর অবশেষে উত্তরের সমতলের তরাই ডুয়ার্স নিয়ে ১৮৪টি বাগান মালিকেরা চা শ্রমিকদের পুজোর ২০%বোনাস
দিতে রাজি হয়েছে। ক্রমাগত বাগান মালিকদের ওপর চাপ সৃষ্টির জেরেই এই সফলতা। বোনাস প্রদানের রাজি হয়েছে সবকটি বাগান। অন্যান্য ইউনিয়নগুলির বোনাস নিয়ে একঝুট হওয়ায় এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে উপনীত হয়েছে। পুজোর মুখে শ্রমিক স্বার্থে এটি বড় সফলতা।বোনাসের ঘোষনায় খুশি উত্তরের চা বলয়ের শ্রমিক পরিবারগুলি।
অন্যদিকে সমতলের চা বলয়ে খুশীর হাওয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রইল পাহাড়। এদিন মালিক পক্ষ ও ইউনিয়নগুলির ভ্যারচুয়াল দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও বোনাস নিয়ে জট কাটেনি পাহাড়ের চা বলয়ে। পাহাড়ের চা শ্রমিকদের বোনাস বৈঠক এদিন ইউনিয়নগুলির সঙ্গে সমঝোতায় আসেনি মালিক পক্ষ। যদিও দার্জিলিং জেলা তৃনমূল চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী জানাচ্ছেন এদিনের বৈঠক সফল হয়নি। ইউনিয়ন ও মালিকদের বোনাস নিয়ে সমঝোতায় আনাসম্ভব হয়নি।দ্রুত পুনরায় ফের বোনাস বৈঠক ডাকা হবে।